সমরেন্দ্র বিশ্ব শর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণার) : পাঠদানের সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষক শিক্ষিকার বেতন ভাতা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা রেখে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানের নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে কেন্দুয়া উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষকা সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন না। আবার অনেক সময় বিদ্যালয় খোলাও হচ্ছেনা। এতে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা বিরাজ করছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তে গিয়ে যে সব বিদ্যালয় বন্ধ পেয়েছেন এর মধ্যে দক্ষিণ গগডা হাজী এ, মালেক, গগডা হাজী শুকুর মাহমুদ, গগডা কোনাপাড়া, চিটুয়া নওপাড়া ও বিষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই ৫ বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক সহ গামরুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কর্মস্থলে না পাওয়ায় ২১ জন শিক্ষক শিক্ষীকার বেতন বন্ধের স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ২৫ অক্টোম্বর এক চিঠিতে তাদের বেতন ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে সাত দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতেও বলা হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, যে সব শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তারা তাদের লিখিত জবাব দিয়েছে তবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমদাদুল হক ২১ শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং তা অব্যহত থাকবে।

তাছাড়া তিনি প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ সহ সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে আন্তরিক ভাবে এগিয়ে আসার ও আহবান জানান।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৭)