আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাক ও ইরানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রবিবার (১২ নভেম্বর) রাতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় রাত ৯টায় আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে ইরানের ইরাক সীমান্ত সংলগ্ন কেরমানশাহ প্রদেশে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া সীমান্তের ওপারে ইরাকি কুর্দিস্তানে কমপক্ষে ৬ জন মারা গেছে জানিয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম।

ইরাকের স্বায়ত্ত্বশাসিত কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার শাসিত সুলাইমানিয়া প্রদেশের দরবানদিখান শহরে ৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন প্রদেশটির গভর্নর ওমর আহমেদ। এছাড়া আহত হয়েছেন বহু। ভূমিকম্পে দরবানদিখান শহরের অনেক ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

রিখটার স্কেলে সাত দশমিক তিন মাত্রার ওই ভূমিকম্পে কেপে ওঠে পুরোপুরি মধ্যপ্রাচ্য। ইসরায়েল, লেবানন থেকে শুরু করে কাতার এমনকি পাকিস্তানেও অনুভূত হয় ওই ভূমিকম্পের কম্পন।

এদিকে ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ইরাকের রাজধানী বাগদাদেও।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো ইরান সীমান্ত সংলগ্ন হালাবজা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। যা রাজধানী বাগদাদ থেকে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

ভূমিকম্পের সময় বাগদাদে ব্যাপক ঝাঁকুনি অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আতঙ্কিত জনসাধারণ এ সময় রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।

এদিকে ইরানে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেরমান শাহ প্রদেশের সারপোল ই জাহাব শহরে। সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরটিতেই অধিকাংশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইরিন। এছাড়া সংলগ্ন আটটি গ্রামও ভূমিকম্পে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের রেড ক্রিসেন্ট এর প্রধান মোরতেজা সেলিম।

ভূপৃষ্ঠের ২১ মাইল গভীরতায় ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল বলে জানিয়েছেন ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।

এর আগেও ২০০৩ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিলো ইরানে। প্রায় ২৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই ভূমিকম্পে।

(ওএস/অ/নভেম্বর ১৩, ২০১৭)