লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া এলাকায় মধুমতি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবীতে  মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার চাপুলিয়াবাসীর আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চাপুলিয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন মধুমতি নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চাপুলিয়া বাবুচ্ছন্নাৎ দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মোল্যা বাবুল হোসেন, শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দাস, সাবেক সুপার হাবিবুর রহমান, কোটাকোল ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর আবু হোসেন, চাপুলিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম, কাজলী বেগম, নারগিস বেগম, হুমায়ুন কবির, রাজু আহমেদ, বুলু বিশ্বাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাপুলিয়া এলাকায় মধুমতি নদীতে গত ১০ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ফের মধুমতি নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

এতে করে চাপুলিয়া বাবুচ্ছন্নাৎ দাখিল মাদরাসা, মসজিদ, ফসলি জমিসহ অন্তত ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া গ্রামের ভেতরের একটি কাঁচা রাস্তা নদী গর্ভে চলে গেছে অনেক আগে। বর্তমানে এলাকার প্রায় ৩০০ ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি ভাঙ্গনের হুমকিতে আছে। চাপুলিয়া এলাকায় মধুমতি নদীর ভাঙনরোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।

প্রসঙ্গত এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীনের হস্তক্ষেপে গত ১২ নভেম্বর (রোববার) বিকালে চাপুলিয়া এলাকায় মধুমতি নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলটি আবারও বালু উত্তোলনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন বলেন, মধুমতি নদীর কোথাও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। পুনরায় কেউ বেআইনি ভাবে বালু উত্তোলন করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

(আরএম/এসপি/নভেম্বর ১৪, ২০১৭)