স্টাফ রিপোর্টার : ধামরাইয়ে যুবলীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সাবেক এমপি বেনজীর আহমদ বলেছেন, বর্তমান এমপি এমএ মালেকের চাঁদাবাজি, দখলবাজ, মিলকারখানার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা নিয়ন্ত্রক, অন্যের জমি দখলসহ সাধারণ নিরীহ জনগণসহ দলীয় চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা দিয়ে ব্যাপক হয়রানি করার অভিযোগ করেন।

সোমবার পৌরসভার যাত্রাবাড়ী মাঠে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তিনি আরো বলেন, মালেক আমাকেও শান্তিতে থাকতে দেয়নি। প্রয়োজন হলে ধামরাইয়ের জনগণের পক্ষ হয়ে এই ধামরাইয়ে যত অপকর্ম কু-কীর্তি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপকর্মের ফিরিস্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো। একটি মানুষও শান্তিতে নেই, ধামরাইয়ের জনগণ আতঙ্কে আছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আতঙ্কে আছে-কখন কাকে ধরে নিয়ে যায়।

তিনি এসময় পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, জনগণের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা নিয়ে যদি হয়রানি করা হয় আপনারা যদি ব্যবস্থা না নেন এই ধামরাইয়ে জনগণ কিন্তু আপনাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, আপনাদের ব্যাপারেও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে আমি বলতে বাধ্য হব যদি জনগণের সহযোগিতা আপনারা না করেন। চারটি বছর আমাকেও শান্তিতে থাকতে দেয়নি। নানানভাবে নানান ধরনের হয়রানি, কর্মীদের হয়রানি, কারো ইটভাটা দখল, কারো জমি দখল,কারো বাড়ি দখল করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজকেও মিটিং আসতে টেলিফোনে নিষেধ করেছে আর বলেছে গেলে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ এই মিটিংয়ে দেখে যান আপনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে জনগন সমবেত হয়েছে।

বেনজীর বলেন, এ সরকারের আমলে কি করে কার নির্দেশে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাইশাকান্দা ইউনিয়নের তিনবারের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজুয়ারন আহমেদ রিজনের উপর হামলা চালিয়ে দুটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে তার সন্ত্রাসী বাহিনী।

পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সানাউল হক সুজনের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন শাহীন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সাকু, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর শহিদুল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে একই মাঠে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে আলোচনা সভায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এমএ মালেক।

ওইদিন এমএ মালেক বেনজীর আহমদের প্রতি বিষোদগার করে বলেন, বেনজীরকে বিএনপি ও জামায়াত বান্ধব নেতা। এসময় তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেন। এছাড়া বেনজীর আহমদ এমপি থাকাকালীন জনগণসহ হিন্দুদের জমি দখল করার অভিযোগ আনেন।

(টি/এসপি/নভেম্বর ১৪, ২০১৭)