স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিটেন্সের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের নোয়াখালী-৩ আসনের মামুনুর রশীদ কিরণের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

ফেনী -২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা সৃষ্টি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিগত বছরগুলোতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি জানান, ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বেসরকারিখাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৮ এবং ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণেরপ্রবাহ গত অর্থবছরের একই তুলনায় ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ লাখ ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। এর ফলে উৎপাদনমুখী উদ্যাগসমূহ বাস্তবায়ন এবং কাক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

চট্টগ্রাম -১১ আসনের এমপি আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার জন্য ন্যূনতম ১০ টাকা জমায় ব্যাংক হিসেবের সংখ্যা ১৭০ লাখের বেশি। এ একাউন্টে সঞ্চয়ের পরিমাণ ১৩শ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম -১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যরত কেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা ৪৯টি। চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো কৃষকদের মধ্যে ২ হাজার ৭৬০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে।

ঢাকা-১ আসনের এমপি সালমা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের অপচয় ও অনিয়ম মোকবেলা করে আর্থিক শৃঙ্খলা, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইতোমধ্যে বেশকিছু ব্যবস্তা নেয়া হয়েছে। এর লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এ অধিকতর সংশোধনী আনা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর ওপারেশনাল এফিসিয়েন্সি বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত তদারকি করছে, বার্ষিক পারফরমেন্স চুক্তি করা হয়েছে, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গাইডলাইনস যথাযথভাবে পরিপালন করা হচ্ছে, ব্যাংকগুলোর ইন্টারকন্ট্রোলে কমপ্লায়েন্স বিভাগ শক্তিশালী করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, এছাড়া ব্যাংশগুলোকে নিয়মিত পরিদর্শন ও পরীবিক্ষণ করা হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৪, ২০১৭)