সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলায় একটি স্বর্ণের দোকান থেকে বিপুল স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে ডাকাতরা। মালখানগর তালতলা  বাজারে আশুতোষ দত্ত জুয়েলার্সে বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে দোকানের মালিক সুদর্শন দত্ত জানান।

ঘটনার শিকার লোকজনের হৈচৈ শব্দ করলেও এবং টহল পুলিশ বাজারের খুব কাছে থাকলেও কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মালখানগর তালতলা বাজারের ব্যাবসায়ীরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। পরে থানা পুলিশ গিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।

আশুতোষ দত্ত জুয়েলার্সের মালিক সুদর্শন দত্ত বলেন, বুধবার গভীর রাতে একদল সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাত দল জুয়েলার্সের দোকানের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকে। পরে সিন্দুক ভেঙ্গে নগদ অর্থসহ ৫ লাখ টাকা ও প্রায় ২ কোটি টাকার গ্রাহকের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

কর্মচারী অনিক মন্ডল বলেন, আমি,সুজন মন্ডল,বিজয় বনিক ও অপূর্ব পোদ্দার রাত ৮টার সময় দোকান বন্ধ করে দোকানেই ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আনুমানিক ১ থেকে দেরটার সময় একদল ডাকাত লাঠি রামদাসহ দোকানের দরজা ভেঙ্গে দোকানে ঢোকলে প্রাণের ভয়ে আমরা পেছনের দরজা খুলে চারজন বের হয়ে যাই। পরিষদের পাশে একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে ঢাকা থেকে মানুষ আসে ,এই একটি রাস্তার মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা দিতে পারেনা সিরাজদিখান থানা পুলিশ।

কিছুদিন পর পর বাড়িতে ও দোকানে ডাকাতি হয় শুনেছি । গভীর রাতে হৈচৈ এর শব্দ শুনেও টহলরত পুলিশ শোনে না। আজ ডাকাতের কবলে পরে বুঝলাম পুলিশ আমাদের কোন সাহায্যে আসে না। আমাদের দোকানে থাকা প্রায় ২ কোটি টাকার গ্রাহকদের স্বর্ণাল্ঙকার ডাকাতরা নিয়ে গেল । এলাকাবাসীরা এ ঘটনার পর এ বাজারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

মালখানগর বাজারের বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল কাসেম বলেন, মালখানগর তালতলা বাজারে আশুতোষ দত্ত জুয়েলার্সে ডাকাতির সময় ডাকাতের বাজারের ৭জন নাইট গার্ডকে পিটিয়ে বেধে রেখেছিল। এই বাজারের সবচাইতে পুরানো এই দোকান প্রায় দেরশত বছরের পুরানো এই দোকানে খুব পরিকল্পীত ভাবে ডাকাতের এই দোকানে ডাকাতি করেছে। শুনেছি ডাকাতির পরে ডাকাতেরা স্বর্ণালঙ্কারসহ নদী পথে চলে যায়। এই তালতলা বাজারের কাছের গ্রাম রায়পুরাতে তিনগাংগের মোহনায় তিন জেলার সংযোগস্থলে একটি পুলিশ ফারি থাকা অতিব জরুরি। পুলিশ ফারি থাকলে ডাকাতির ঘটনা সহজে এখানে, এ বাজারে ঘটবে না।

ওসি মোঃ আবুল কালাম বলেন, ডাকাতির ঘটনায় দোকান মালিক সুদর্শন বাদী হয়ে কোন অভিযোগ দেয়নি। ঘটনা শুনে ঘটনা স্থল পরিদর্শ করেছি। ঘটনার বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাজারের নৈশ প্রহরীসহ দোকানের কর্মচালীদের ১০ জনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ডেকে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

(এসডিআর/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৭)