বিনোদন ডেস্ক : সঙ্গীত ও রুনা লায়লা শব্দ দুটি সমর্থক হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। প্রায় পাঁচ দশকেরও অধিক সময় ধরে দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে রেখেছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা। আজ এই গায়িকার ৬৫তম জন্মদিন। দিনটিতে চ্যানেলে চ্যানেলে যেন উৎসবের আমেজ। দেশের বেশ কিছু টিভি চ্যানেল তাকে নিয়ে সাজিয়েছে নানা অনুষ্ঠান।

তবে রুনা লায়লা যোগ দিচ্ছেন না বাইরের কোনো অনুষ্ঠানে। জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের বাসাতেই ঘরোয়া এক অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি। আড্ডা দিবেন কাছের মানুষদের সঙ্গে।

এদিকে, দেশ টিভিতে ‘মিউজিক্যাল নাইট’ অনুষ্ঠানে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে লুইপা গেয়েছেন রুনা লায়লার সম্মানে। শুক্রবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে চ্যানেল আইতে ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী কোনাল ও ‘ক্ষুদে গানরাজ’-এর শিল্পীরা। এতে রুনা লায়লার গাওয়া গান গেয়ে শুনিয়েছেন তারা। সকালে বিটিভির সরাসরি গানের অনুষ্ঠানে গেয়েছেন দিনাত জাহান মুন্নী। রুনা লায়লার জনপ্রিয় ৭টি গান শোনান তিনি।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর এমদাদ আলী ও আমিনা লায়লার ঘর আলো করে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। তারা দুই বোন এক ভাই (বোন- দীনা লায়লা, ভাই- সৈয়দ আলী মুরাদ)। স্বামী চিত্রনায়ক আলমগীর। ছোট বেলা থেকেই গান করেন তিনি। উচ্চাঙ্গ সংগীতে দীক্ষা নিয়েছেন ওস্তাদ হাবিব উদ্দিন খান ও আবদুল কাদের পিয়ারাংয়ের কাছে। গজলে দীক্ষা নিয়েছেন পণ্ডিত গোলাম কাদিরের (মেহেদী হাসানের ভাই) কাছে।

দর্শকের সামনে প্রথম গান করেন মাত্র ৬ বছর বয়সে। গান গেয়ে প্রথম পুরস্কার পান ৯ বছর বয়সে। প্রথম প্লেব্যাক করেন পাকিস্তানি চলচ্চিত্র ‘জুগনু’তে সাড়ে ১১ বছর বয়সে। এখন পর্যন্ত গানের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।

বাংলা, উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, বালুচ, ফারসি, আরবি, স্প্যানিশ, ফরাসি কিংবা ইংরেজি, এমন অনেক ভাষার গান গেয়েছেন রুনা লায়লা। সুরকার নিসার বাজমির ১০টি করে তিন দিনে মোট ৩০টি গান রেকর্ডের পর রুনা লায়লা নাম লেখান গিনেস বুকে। ১৮টি ভাষায় গান গাওয়া, নিজের সংগীতজীবন নিয়ে নির্মিত ‘শিল্পী’ ছবিতে অভিনয় করা- এসব মিলিয়ে রুনা লায়লা এখন এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০১৭)