নিউজ ডেস্ক : ইফতারের টেবিলে সবচাইতে পরিচিত খাবার হচ্ছে ছোলা ভুনা। রমজানের বাইরেও বিকালের নাস্তায় ছোলা-মুড়ি নিশ্চয়ই খেয়েছেন? এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন খান এই ছোলা? কেবলই কি স্বাদের জন্য? তবে জেনে রাখুন, যতটা না স্বাদ তারচাইতে অনেক বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে এই ছোলা থেকে। আসুন, আজ জানি প্রিয় ছোলার অসাধারণ কিছু উপকারিতা।

ছোলা বা বুটকে বলা হয় দানাদার শক্তিশালী খাদ্যশস্য। অর্থাৎ প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে (প্রায় ৫০ গ্রাম) ছোলা খেলে মাছ-গোশত ইত্যাদি ঘাটতি পূরণ হয়। অনেকে বলে থাকেন, ছোলা খাও আর ব্যয়াম কর। মজার ব্যাপার হলো ছোলায় আমিষ বা প্রোটিনের পরিমাণ মাংস, মাছ বা ডিমের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান।
পুষ্টিমান
প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আমিষ আছে প্রায় ১৮ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট আছে প্রায় ৬৫ গ্রাম। আর ফ্যাট আছে প্রায় ৫ গ্রাম। ছোলায় আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় রয়েছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। ভিটামিন ‘এ' আছে প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম। প্রচুর পরিমাণে আছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। আছে ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস।
গুণাগুণ
ছোলার শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম, যা শরীরে প্রবেশ করলে অস্থির ভাব দূর হয়।
ছোলা খাওয়ার পর বেশ অল্প সময়েই হজম হয়।
এর শর্করা গ্লুকোজ হয়ে দ্রুত রক্তে চলে যায় না। অতএব, ছোলা ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য খুবই উপকারী খাবার।
ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়।
ছোলার অাঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত ছোলা খেলে আর নিয়মমত পায়খানা হলে খাদ্যনালীতে ক্ষতিকর জীবাণু থাকতে পারে না। ফলে খাদ্যনালীর ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে না বলা যায়।
এর অাঁশ রক্তের চর্বি কমায়।
ছোলা দীর্ঘক্ষণ ধরে শক্তির যোগান দেয় শরীরে। জানা গেছে, প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলা থেকে প্রায় ৩৮০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
কীভাবে খাবেন?
ছোলা ডাল হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। মাংসের সঙ্গেও খাওয়া যায় ছোলা। ছোলার ডালের হালুয়া বেশ মজাদার বা মুখরোচক খাবার। এটি খেলে শিশুর বাড়ন্ত শক্তির যোগান হয় সহজেই।
ছোলা ভেজে খাওয়া যায়। সেদ্ধ করেও খাওয়া যায়। তবে তেল-মসলা দিয়ে খাওয়ার চেয়ে তা ভিজিয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। দেশী-বিদেশী সব ছোলাই উপকারী।
(ওএস/এএস/জুলাই ০২, ২০১৪)