সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে জমিজমা,পুকুর-সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনের ঘরোয়া বৈঠকে ভাতিজাদের লাথি ও ঘুষির আঘাতে চাচার মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার রাত সাওে নয়টায় ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

গত শনিবার রাত সারে ১২টায় সিরাজদিখান থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের চার ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে মোঃ আব্দুল মতিন হাওলাদার ও বড় ভাইয়ের ছেলে আবুবক্কর সিদ্দিক,জয়নাল হাওলাদার,হোসেন জামাল ও কামালের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে জমিজমা, পুকুর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

ওই বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে গত শনিবার রাত সারে নয়টায় তাঁর ভাতিজা জয়নাল হাওলাদারের বাড়িতে জমিজমা, পুকুরের মাছ বিক্রির সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আরেক ভাতিজা আবুল কালামের ছেলে জুয়েল হাওলাদার ঘরোয়া সমঝোতা বৈঠক করার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। সমঝতা না হলে ওই বাড়ি থেকে আব্দুল মতিন বেড় হয়ে পুকুর পার আসলে ভাতজাদেও লাথি ও কিলঘুষিতে আব্দুল মতিন হাওলাদার আহত হলে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ইছাপুরাতে আনলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল মতিন হাওলাদারকে মৃত ঘোষনা করেন।

মৃত আব্দুল মতিন হাওলাদারের মেঝ ছেলে মোঃ ওয়াসিম হাওলাদার জানান, জয়নাল হাওলাদারের বাড়িতে বৈঠকে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রচন্ড বাগিবতন্ডার একপর্যায়ে বাবা বের হয়ে আসলে উত্তেজিত জয়নাল হাওলাদার ও হোসেন হাওলাদার বাবাকে ধওে মারতে বললে হঠাৎ ভাতিজা জামাল হাওলাদার ও কামাল হাওলাদার তলপেট লক্ষ্য করে সজোরে লাথি ও কিলঘুষি মারেন। এতে বাবা মাটিতে ঢলে পড়েন এবং হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।

ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মতিন হাওলাদার ও ইছাপুরা ৭নং ইউপি সদস্যা মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং নিহত মেঝছেলে ওয়াসিম হাওলাদার, ছোট ছেলে সালাউদ্দিন হাওলাদার নিকটাত্মীয় মোঃ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মূলত পারিবারিক বৈঠকে চাচা ভাতিজাদের ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে ভাতিজার লাথির আঘাতে চাচার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম বলেন, ধারনা করা হচ্ছে জমিজমা,পুকুর-সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনের ঘরোয়া বৈঠকে ভাতিজাদের লাথি ও ঘুষির আঘাতে চাচার মৃত্যু হয়েছে।

গত শনিবার রাত সারে ১২টায় সিরাজদিখান থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গতকাল রবিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্তের পর রির্পোট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বুঝা যাবে। এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

(এসডিআর/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৭)