স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ব্রাজিল কোচ লুইস ফিলিপ স্কলারির নতুন টেনশন শুরু হয়েছে ফুটবলারদের নিয়ে ক্যাম্পে অনুশীলন শুরু করলেও। আর এই টেনশনের নাম হচ্ছে নেইমার। চিলির ম্যাচে নেইমার ব্যথা পেয়েছিলেন। সেই ব্যথা নাকি এখনও সেরে উঠেনি বলে ক্যাম্পের বাইরে খবর বেরিয়েছে। শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিল ফরোয়ার্ড নেইমার মাঠে নামতে পারবেন কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কোচ স্কলারি এই ইনজুরি নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় আছেন।

নেইমার কতটা চোট পেয়েছেন, ম্যাচের আগে ফিট হবেন কিনা-এসব নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি তাকে বিকল্পও ভেবে রাখতে হচ্ছে। তবে এখনই নেইমারকে একাদশ থেকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছেন না কোচ। তাকে হাতে রেখেই একাদশের হিসাব করা হচ্ছে। কারণ সময় তো এখনও ফুরিয়ে যায়নি। ম্যাচের একাদশ ঘোষণার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নেইমারের জন্য অপেক্ষা করা হবে।

চিলির বিরুদ্ধে প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ শেষে ক্যাম্প থেকে ছুটি দেয়া হলেও নেইমারকে সার্বক্ষণিক চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। কারণ চোট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কি কি করতে হবে চিকিত্সকরা তার একটি তালিকা ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাকে। সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে চিকিত্সকদের সঙ্গে যোগাযোগের উপদেশতো ছিলই। নেইমার হাঁটুর ওপরে ব্যথা পেয়েছেন। সেখানে ফুলে গিয়েছে। ব্যথা কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। স্কোলারি মনে করছেন নেইমার মাঠে নামতে পারবেন। সেভাবেই তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে।

চিলির বিরুদ্ধে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে চিলিয়ানরা মারতে শুরু করেন। নেইমার তাদের বড় শত্রু সেটা ভালো জানা ছিল চিলির আর্জেন্টাইন কোচ সামপাওলির। তাই তো তিনি ব্রাজিলকে থামানোর জন্য নেইমারকে ফোকাস করেন। নেইমারকে ঠেকানো গেলে ব্রাজিলের অর্ধেক শক্তিই কমে যাবে এমন ধারণা থেকেই এ কৌশল নেয়া হয়েছিল। ম্যাচের শুরু থেকেই চিলির ডিফেন্ডার ফ্রান্সিসকো সিলভা, জারা, মেডেল, ইউজেনিও মেনা এবং ইসলারা নেইমারকে আঘাত করতে শুরু করেন। ম্যাচের ৫ মিনিটেই সুযোগ পেয়ে প্রথম আঘাতটি করেছিলেন ফ্রান্সিকো সিলভা। এক আঘাতেই নেইমার ঘাসের ওপর লুটিয়ে পড়েন। তারপরও মনের জোরে উঠে দাঁড়িয়ে খেলতে শুরু করলেও সুযোগ পেয়ে আবার পায়ের সেই একই জায়গায় আঘাত করেন চিলিয়ান ফুটবলার। ব্যথায় কাতর নেইমার বাধ্য হয়ে সাইড লাইনে কোচের কাছে আশ্রয় নেন। মাটিতে শুয়ে পড়েন।

নেইমার যখন মাঠের বাইরে সেবা নিচ্ছিলেন তখন ব্রাজিলীয়রা চিত্কার করে বলছিলেন, নেইমার লেভেন্তা, নেইমার লেভেন্তা (পর্তুগীজ ভাষায়-নেইমার জেগে ওঠো, নেইমার জেগে উঠো)। তাত্ক্ষণিক সেবা দিয়ে সে সময় নেইমারকে মাঠে ঠেলে দেয়া হয়। কিন্তু নেইমার ব্যথা নিয়ে দৌড়াতে পারছিলেন না। যে স্পিডে তার খেলার কথা, তা তিনি পারছিলেন না। গতিময় নেইমার অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে যাচ্ছিলেন। ১২০ মিনিটের ম্যাচে নেইমার ক’টা বল নিয়ে চিলির রক্ষণভাগের জমিটা দখল করতে পেরেছিলেন তা দেখেছেন নেইমার ভক্তরা। চিলির বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে নেইমার গোল করলেও ১২০ মিনিটের ম্যাচে নেইমার গোল করতে পারেনন

(ওএস/পি/জুলাই ০২,২০১৪)