চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বগার বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল থেকে চাটমোহর উপজেলার বোয়ালিয়া ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিয়ারপাড়া গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। একই সাথে মাইকিং করে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়।

খবর পেয়ে চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিয়েছে। এতে বড় ধরনের সহিংসতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে উভয় গ্রামবাসী।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী শতাধিক একর আয়তনের বগার বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দিয়ারপাড়া এবং বোয়ালিয়া গ্রামের মসজিদের মাইকে মাইকিং করে কয়েক’শ লোক একে অপরের ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতিতে বাধা দিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে।

পুলিশ জানায়, তারা যথা সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারলে বড় ধরনের রক্তপাত ঘটার আশঙ্কা ছিল। ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দু‘পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, বল্লম, টেঁটা, রাম দাসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান নেয়। পুলিশের এ অবস্থানের কারণে তখন উভয় পক্ষের লোকজন কেউ কাউকে আক্রমণ করার সুযোগ পায়নি। দীর্ঘক্ষণ উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা ও সমঝোতার পর রাত ১০ টার দিকে পুলিশের নির্দেশে লোকজন পিছু হটে।

এ ব্যপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আহসান হাবীব জানান,পরিস্থিতি এখন ভালো। দু’গ্রামের ৫/৬ শ’ লোক জড়ো হয়েছিলো। পুলিশী পদক্ষেপে তা স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় সাংসদ পুত্র ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি মীমাংসা করে দিবেন।

চাটমোহর সাকলের সিনিয়র এসপি তাপস কুমার পাল বলেন, পুলিশের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তবে এ বিষয়ে আগামী ২১শে নভেম্বর উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।

(এসএইচএম/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৭)