সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কৈখালি গ্রামে হাওড়া নদীর বেড়িবাঁধের উপর এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম ছলেমান গাজী (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঝায়ামারি গ্রামের মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে।

ঝায়ামারি গ্রামের আয়েশা খাতুন জানান, তার স্বামী ছলেমান গাজী আশাশুনি উপজেলার বসুখালির বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে কালিগঞ্জের বাবুরাবাদে ভুমিহীন আন্দোলনের সময় থেকে তিনি ঝায়ামারিতে বসবাস শুরু করেন।

বর্তমানে তিনি কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন। কয়েক বছর আগে দেবহাটা উপজেলার দেবীশহর সোসাইটির ঝায়ামারির বিলের ১০৭ বিঘা জমি মনোরঞ্জন মুখার্জীর কাছ থেকে কেনেন বসুখালির অমেদ আলী, তার স্বামী ছলেমান, আব্দুর রশীদ, ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন। এ নিয়ে ঝায়ামারির এলাকার ওহাব আলী পেয়াদার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। দু’ বছর আগে দেওয়ানী মামলায় হেরে যাওয়ার পর ওহাব আলী পেয়াদা তার স্বামীকে ভালভাবে মেনে নিতে পারতো না। তাকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয় কয়েকবার। একারণে তার স্বামীকে হত্যা করা হতে পারে তিনি আশঙ্কা করছেন।

ঝায়ামারি গ্রামের আব্দুর রশীদ জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে সলেমান ও তনিসহ কয়েকজন শোভনালী বাজারে সাহেব আলীর দোকানে ক্যারাম বোর্ড খেলছিলেন। এ সময় একটি মোবাইল থেকে কল আসায় তড়িঘড়ি করে সে বাড়ি ফিরছিলো। রাত প্রায় ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ছলেমানকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে সোমবার ভোরে কৈখালি পারি ট্যাঙ্কি থেকে ১০০ হাত দূরে তার জবাই করা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যার মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে।

(আরকে/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০১৭)