কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলায় ৩৩ জন চিকিৎসকের বিপরীতে মাত্র ৭ জন চিকিৎসক রয়েছে।

ফলে উপজেলা প্রায় ৫ লক্ষ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। অধিকাংশ সময়ে চিকিৎসকের সাক্ষাত না পেয়ে সেবা নিতে আসা অসহায় দরিদ্র রোগীদের ফিরে যেতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুন নাহার বেগম জানান, এ উপজেলায় ৩৩ জন চিকিৎসকের বিপরীতে রয়েছে ১৭ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে ডেপুটেশনে ৯ জন ও ১ জন চিকিৎসক চাকুরী থেকে অব্যহতির আবেদন করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়ার কনসালটেন্ট সার্জারী, জুনিয়ার কনসালটেন্ট মেডিসিন, জুনিয়ার কনসালটেন্ট এ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়ার কনসালটেন্ট চক্ষু, জুনিয়ার কনসালটেন্ট অর্থ-সার্জারী, জুনিয়ার কনসালটেন্ট ইএনটি, জুনিয়ার কনসালটেন্ট চর্ম ও যৌন, ইএমও, আইএমও, প্যাথলজিষ্ট, এমও (এএমসি), ২ জন মেডিকেল অফিসার, ৩ জন সহকারী সার্জনের পদ শূন্য রয়েছে।

এ ছাড়াও কর্মরত চিকিৎসকদের মধ্যে জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনী ডা. ফারহানা আফরোজ চমন সিভিল সার্জনের আদেশ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে, জুনিয়ার কনসালটেন্ট শিশু ডা. আবু বকর সিদ্দিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে, সহকারী সার্জন ডা. নিপিম পারভীন মিশু বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) আদেশ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে, সহকারী সার্জন ডা. আশরাফুল হাসান অঞ্জন সিভিল সার্জনের আদেশ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে, সহকারী সার্জন ডা. এ জে এম মুছাদ্দেক রেজা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে সংযুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়াও মেডিকেল অফিসার (নবসৃষ্ট) ডা. মোহাম্মদ আজাদ ২০১২ সালের মার্চ মাসে যোগদান করে নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। অদ্যবধি কর্মস্থলে যোগদান না করে চাকুরী থেকে অব্যহতির আবেদন করেছে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত শূন্যপদে চিকিৎসক পূরনের জন্য এলাকার জনগন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

(কেকে/জেএ/জুলাই ০২, ২০১৪)