স্টাফ রিপোর্টার : দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আইনে কী কী সংশোধনী আনা হচ্ছে তা শিগগির জানানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।  

মঙ্গলবার সচিবালয়ে শ্রম আইন সংশোধন বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত জুনে আইএলসির সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে আমাদের জন্য ক্ষতিকর একটি প্যারাগ্রাপ উইথড্র করা হয়। এতে বাংলাদেশের অনেক বাধা কেটে যায়। কিন্তু আইএলও ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আইএলসি কিছু বিষয় আমাদের শ্রম আইনে পরিবর্তনের কথা বলে। সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আজকে সব পক্ষের সঙ্গে বসেছি। আজকের সভায় শ্রম আইনের কিছু বিষয় সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তে সবাই খুশি। তবে কী কী বিষয় সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মন্ত্রী।

তোফায়েল বলেন, আমরা কিছু কিছু এমেন্ডমেন্ট করব। সে বিষয়েই আজ বসেছিলাম। সবার সাথে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। আগামীকাল জেনেভাতে যে কমিটি বসছে ওখানে আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা জানিয়ে দেব। আমরা আশা করছি, এতে করে ভবিষ্যতে আর কোনো সংকট থাকবে না।

কী সিদ্ধান্ত হয়েছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখন বলতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব, সেজন্য এখানে আমরা এটা ঘোষণা করছি না। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারব। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের একটি বড় বাজার। আমাদের রপ্তানির সিংহ ভাগ সেখানে যায়। তারাও আমাদের সিদ্ধান্তে খুশি হবে বলে আমরা আশা করছি।

এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ২০১৭ সালের জুন মাসে যে লেবার কনফারেন্স হয়েছিল সেখানে ২০১৬ সালের স্পেশাল একটা প্যারাগ্রাফ দেয়া হয়েছিল যেটা আমাদের জন্য সমস্যার ছিল। সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। কারণ, এ প্যারাগ্রাফ থাকলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে সমস্যা হতো। আইনমন্ত্রী বলেন, পরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমাদের (বাংলাদেশ) লেবার আইনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। সেটা নিয়েই আমরা আজকে বসেছি এবং সন্তোষজনকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সিদ্ধান্তগুলো বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানো হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমি এতটুকু বলতে পারি, সমস্যা যে জায়গাগুলোতে ছিল সেগুলো আমরা সমাধান করতে সক্ষম হব। তবে যেখানে পরিবর্তন করলে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে সেখানে আমরা পরিবর্তন করিনি। এ সিদ্ধান্তের পর আর কোনো সংকট থাকবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন সরকারের এ মন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইপিজেডে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামে ট্রেড ইউনিয়ন আছে এবং থাকবে। নতুন করে আর ট্রেড ইউনিয়নের দরকার নেই।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০১৭)