নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে শত শত হেক্টর জমির আতব ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানীর নানা রকম কিটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করেও ফল পাচ্ছে না কৃষক। ফলে ধান আবাদের ফলন ও খরচ তোলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পরেছেন কৃষকরা ।

ধানের শীষ মরাকে কৃষকরা ব্লাস্ট রোগ দাবি করলেও কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, এটি মাজরা এবং ঝড়ো বাতাসের কারনে মরে যাচ্ছে ।

চলতি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হাজার ৮০ হেক্টর আবাদী ধানের জমির মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমির ধান এবারের ভয়াবহ বন্যায় বিনষ্ট হয়ে যায় । দ্বিতীয় দফায় বিভিন্ন এনজিও, সমিতি আবার কেউবা বাড়ির হাঁস-মূরগী বিক্রি করে লোকসান কেটে ওঠতে চরা দামে চারা ও ধান গাছ কিনে জমি রোপন করেন কৃষকরা। এর পর বন্যার ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই ধান গামরের সময় টানা বৃষ্টি ও ঝরো হাওয়ায় ধান গাছগুলো সাট হয়ে পানিতে শুয়ে পড়ে যায়। এতে করে ফলন নিয়ে হতাশায় পরেন কৃষক।

শুয়ে পড়া ধানে অনেক পরিচর্যা করার পর কিছুটা স্বাভাবিক হলেও চিনি আতব ধানের শীষ অস্বাভাবিক হারে মরতে থাকে। ধানের শীষ মরা রোধ করতে পাগলপ্রায় কৃষকরা একের পর এক বিভিন্ন কিটনাশক কোম্পানির ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। এতে করে ধানের ফলন ও খরচের টাকা তোলা নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা ।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, চলতি মৌসুমে শুধু মাত্র চিনি আতব ধানেরই আবাদ রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে ।

তবে এ মৌসুমে ধানে কোন রুপ ব্লাস্ট রোগ নেই দাবি করে তিনি জানান, অল্প পরিমান কিছু জমিতে শীষ মরে গেছে যা মাজরা ও ঝড়ো বাতাসের কারনে হয়েছে। তাছাড়া তেমন কোন রোগবালাই নেই বলে দাবী করেন তিনি।

(বিএম/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০১৭)