স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা কখনোই সফল হয় না, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। তারা বলেছেন সম্প্রতি কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যে হামলা হয় তার নেপথ্যে ছিল ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। অথচ মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে।’

তিনি বলেন, ‘বিএএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যে হামলা চালিয়েছে সেটি আরো উপর অর্থাৎ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়েই যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নাই। থলের বিড়ালকে বেশিদিন আটকিয়ে রাখা যায় না। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যম ও মানুষের বাক স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে হরণ করতে সম্প্রচার আইন করতে যাচ্ছে সরকার। মূলত এই আইনের শিরোনামকে যতই ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হোক না কেন এটি যে বিরোধী দল বহু মত বিশ্বাস স্বাধীন চিন্তার উপর কুঠারাঘাত করার জন্যই এই আইন পাস করার তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা বিরোধিতা ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিকে বেপরোয়াভাবে দমন করার জন্যই এই আইন করা হচ্ছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকারের আমলে তাদের সৃষ্ট নানা গণবিরোধী আইনের মধ্যে এই হবে আরেকটি ভয়াবহতম কালো আইন। বাংলাদেশের মানুষ এমন কালো আইন মেনে নেবে না। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে সরকারের এহেন সম্প্রচার আইন-২০১৭ পার্লামেন্টে পাস করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বর্তমান ভোটারবিহীন বাকশালী স্বৈরশাসকদের হটাতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যতই ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগ করুক না কেন তাদের শেষ রক্ষা হবে না। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অচিরেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, এম এ মালেক, কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২২, ২০১৭)