সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার সময় জনতার তাড়া খেয়ে পালিয়ে গেছে এক কলেজ ছাত্র। এ সময় সে ফেলে গেছে তার পরিহিত লুঙ্গি, জামা, জুতা, মোবাইল ফোন ও কনডম। গত ২১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন বড়বিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও ওই ভিকটিম পরিবার কোন আইন সহায়তা পাননি।

ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ের ছয় মাস বয়স থাকালিন স্বামী তাকে তালাক দেন। এরপর তিনি একই এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মেয়েটিও তার সঙ্গে থাকতো। মেয়েটি স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী।

একই গ্রাম বড়বিলার ইনসাফ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (১৭) পাটকেলঘাটা কলেজের এইচ এসসি পরীক্ষার্থী। একই এলাকায় বসবাসের সূত্রে আব্দুল্লাহ’র সাথে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আব্দুল্লাহ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে মেয়েকে পার্শ্ববর্তী শফিকুলের পুকুর পাড়ে নিয়ে যেয়ে ধর্ষণ করে।

স্থানীয়রা জানতে পারায় আব্দুল্লাহ তার পরিহিত লুঙ্গি, জামা, জুতো, মোবাইল ফোন ও একটি ব্যবহৃত কনডোম ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা পরদিন মেয়েকে আব্দুল্লার বাড়িতে তুলে দেয় বিয়ের জন্য। পরে স্থানীয় একটি চিকিৎসক ও সাংবাদিক হেলালউদ্দিনের আশ্বাসে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়বিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মেয়েটি নাবালিকা ও ছেলে নাবালক হওয়ায় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়।

সে অনুযায়ি শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি কোন সিদ্ধান্ত দিতে না পারায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। বর্তমানে ওই ছেলেটি পালিয়ে গেছে। ঘটনা বিলম্বিত হওয়ায় থানায় মামলা নেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। উৎকণ্ঠা বাড়ছে ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুল্লা’র ভাই হামিদ জানান, তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করবেন না।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা জাকির হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০১৭)