আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিল্লি পুলিশের বিশেষ বাহিনী আল কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, দেশটির উত্তর-পূর্ব এলাকায় রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের হয়ে কাজ করছিলেন তিনি। গ্রেফতারের দুইমাস পর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার জন্য জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে (এনআইএ) নির্দেশ দিয়েছে।

চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দিল্লির পূর্বাঞ্চল সাকারপুর এলাকায় গ্রেফতার হন সামিউন রহমান ওরফে সুমন হক ওরফে রাজু ভাই। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে যুক্তরাজ্যের নাগরিক বলে দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে আল কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কথাও স্বীকার করেছেন।

তাকে গ্রেফতারের দিনই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একেবারে বিপজ্জনক এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছিল।

গ্রেফতার সামিউন রহমানের কাছে ৯ এমএম পিস্তল, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২০০৮ সালের বিধান অনুযায়ী অস্ত্র আইনে মামলাও করা হয় তার বিরুদ্ধে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্তকারীদের কাছে তথ্য রয়েছে, ২৭ বছর বয়সী সামিউন ভারতের বিভিন্নস্থানে হামলার সঙ্গে জড়িত। গত সপ্তাহ থেকে সামিউনের বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।

তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণাদি তার ল্যাপটপে মিলেছে। এছাড়া মরক্কো, মৌরতানিয়া, তুরস্ক, সিরিয়া, বাংলাদেশ এবং ভারতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গেছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশের সিলেটের নবীগঞ্জ, ঢাকাসহ বেশ কিছু স্থানে সফর করেছেন সামিউন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে আটকও হয়েছিলেন তিনি।

সামিউনের মামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এনআইএ।

এনআইএর তথ্য মতে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ভারতে গেছেন সামিউন। তার উদ্দেশ্য ছিল, মিজোরাম ও মণিপুরে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা এবং রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সেখানে প্রবেশে সহায়তা করা। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হয়ে লড়াইয়ে সহায়তারও পরিকল্পনা ছিল তার। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০১৭)