নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএনপি নেতা ও এক তরুনী সহ জোড়া খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী জেলার মর্গে লাশ দুইটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর)দুপুরের দিকে এই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল জেলার সৈয়দপুর উপজেলার জসিম বাজার দোলাপাড়া মহল্লার এক ভাড়াকৃত বাড়িতে। হত্যাকারীরা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার পর ধারালো অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়।

হত্যার শিকার এই দুইজন হলেন- দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা শহর সংলগ্ন সরকারপাড়া গ্রামে পিতার মৃত মনসুর আলীর ছেলে মামনুর রশিদ (৩৩) ও একই উপজেলা শহরের পোড়াভিটা গ্রামের মহেবুল ইসলামের মেয়ে সাথী আরা (২৬)। এরা দুইজনেই সম্পর্কে মামাতো -ফুফুতো ভাই বোন। এ ছাড়া মামনুর রশিদ পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেল ব্যবসায়ী। আর সাথী আরা রংপুরের একটি কলেজের অর্নাসের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, সাথী আরাকে বিএনপি নেতা মামুনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে মামুনের পরিবার তাদের বিয়ের ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন। মামুনের প্রথম স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে (মামলা নম্বর ২২)তারিখ-৩০/১১/২০১৭ ইং।

সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, যে বাড়িটি জোড়া খুনের ঘটনটি ঘটেছে সেটি সৈয়দপুর শহরের কার্ডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডাঃ তৌফিক ইমামের স্ত্রী নাদিরা আক্তারের। তিনি ওই বাসাটি পেট্রোল পাম্প কর্মচারী শিবলী সাদিক দম্পতিকে ভাড়া দিয়েছিল। তবে খুনের পর থেকে শিবলী সাদিক ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে।তাই সে দম্পক্তিসহ জড়িত বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

(এমআইএস/এসপি/ডিসেম্বর ০১, ২০১৭)