শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : বিলুপ্তপ্রায় দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কাঠারী ভোগ ধান ফিরিয়ে আনতে উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি ব্রি ধান ৭০ চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের রংপুর অঞ্চল প্রথমিক অবস্থায় এবছর মাঠ পর্যায়ে শুরু করেছে এ ধান চাষ। পেয়েছেনও আশাতীত ফলন। ফলন দেখে আগামীতেও এ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষক।

প্রথম বারের মতো দু’বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি ব্রি ধান ৭০ চাষাবাদ ব্যাপক সাফল্য বয়ে এনেছেন কৃষক ফেরদৌস। পেয়েছেন আশাতীত ফলন।

শুধু চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক ফেরদৌস নয়, দিনাজপুরের অসংখ্য কৃষক এবার চাষ করেছেন উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি ব্রি ধান ৭০। এ জাতের ধান চাষ করে বিলুপ্তপ্রায় দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কাঠারী ভোগ ধানের চেয়ে দ্বি-গুন ফলন পেয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রপ্রতিক ভয়াবহ বন্যায় কৃষকের রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হলে নতুন করে আবারো জমিতে রোপা লাগালেও সুগন্ধি ব্রি ধান ৭০ চাষাবাদে বন্যায় কোন ক্ষতি হয়নি রোপার। এ ধানে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ-বালাইও কম।

এ ধানের ফলন দেখে অনেক কৃষক আগামীতে এ ধান লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কৃষক আকরাম জানিয়েছেন,তিনি আমন ধানের যে রোপা লাগিয়েছিলেন,তা সাম্প্রতিক বন্যায় বিনষ্ট হয়ে যায়। পরে আবারো রোপা লাগাতে হয। কিন্তু কৃষক ফেদৌস সুগন্ধি ব্রি ধান ৭০ লাগিয়ে বন্যায় কোন ক্ষতি হয়নি তার রোপার। ফলনও হয়েছে ভালো। তাই,তিনিও আগামীতে এ ধান লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে ২০১৫ সাথে স্বীকৃতি প্রাপ্ত উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি ব্রি ধান ৭০ দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কাঠারী ধানের বিকল্প কলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের রংপুর অঞ্চল প্রথমিক অবস্থায় এ বছর মাঠ পর্যায়ে এ ধানের চাষ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট,রংপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রধান)ড.আবু বকর সিদ্দিক সরকার। তিনি জানান, এধানে রোগ বালাইয়ের আক্রমন কম।

বিলুপ্তপ্রায় দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কাঠারীভোগ ধান আবার মাঠ পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট রপুর অঞ্চল কাজ শুরু করেছে। ব্রি ধান ৭০ নামে এই ধান প্রাথমিকভাবে চাষাবাদ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন। তাই আগামীতে এধানের চাষাবাদ বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্যকরেছেন কৃষিবিদরা।

(এসএএস/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৭)