নিউজ ডেস্ক : সুখী মানুষেরা কী করেন? কোন কাজটি বা কাজগুলোর কারণে তারা এতো সুখী তাদের জীবনে। এই ধরনের প্রশ্ন যে কোনো সাধারণ মানুষের মধ্যেই আসতে পারে। কারণ মানুষ জীবনের অনেকটা সময় সুখ খুঁজেই পার করে দেন।

কিন্তু অনেকেই জানেন না সুখ তার নিজের হাতে। সুখী মানুষেরা যে সকল কাজ করেন এবং যে কাজগুলো করেন না তার মাধ্যমেই সুখী থাকেন। এবং তার সেই সকল কাজ তার নিজের হাতেই থাকে। জানতে চান সুখী মানুষেরা যে কাজগুলি একেবারেই করেন না-
মানুষের কথায় কান দেয়া
মানুষ আপনার সম্পর্কে কথা বলেই যাবে। আপনি সোজা পথে হাঁটলেও কথা শোনাবে আবার বাঁকা পথে হাঁটলেও কথা শোনাবে। তাই মানুষের সকল কথায় কান দিয়ে নিজের সুখ নষ্ট করার কাজটি সুখী মানুষেরা একেবারেই করেন না।
নিজের খুশির জন্য নির্ভরশীলতা
অন্য কোনো মানুষ এবং অন্য কোনো জিনিসের মধ্যে একজন মানুষের সুখ থাকতে পারে না। কারন সুখ পুরোপুরিই মানসিক একটি ব্যাপার। যা আত্মতৃপ্তি থেকে আসে। যখন কোনো বস্তু বা কারো ওপর নিজের সুখের জন্য নির্ভর করতে হয় তখন কখনোই সুখী হওয়া যায় না। সে কারনেই সুখী মানুষ নিজের সুখের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকেন না।
অতীত ধরে রাখা
মানুষের অতীত থাকতেই পারে, কিন্তু সেই অতীত ধরে রেখে যদি বর্তমানে কষ্ট এবং ভুল উপলব্ধি করে নিজেকে দোষারোপ করা হয় তবে তা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এই বোকামিটি সুখী মানুষেরা একেবারেই করেন না। অতীতের কাজ শুধুমাত্র আপনি যে ভুলটি করেছিলেন তার থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য।


অন্যের খুঁত ধরতে যাওয়া
যার চোখে অন্য মানুষের খুঁতটা আগে চোখে পরে সে কখনোই সুখী হতে পারেন না। কারন আপনার মন সব সময় নেতিবাচক জিনিসটিই খুঁজবে। যিনি নেতিবাচক জিনিসটিই দেখবেন তিনি নিজেই সুখকে দূরে ঠেলে দিয়ে থাকেন। তাই অন্যের খুঁত ধরতে যাওয়ার মতো অযথা সময় সুখী মানুষেরা ব্যয় করেন না।
মুখে এক ভেতরে আরেক
মুখে এক এবং ভেতরে আরেক এই ধরনের দ্বিমুখী সাপের ভূমিকা সুখী মানুষজন একেবারেই পালন করেন না। কারন যারা এই ধরনের আচরন করেন তারা কখনোই ভালো থাকতে পারেন না। নিজের দ্বিমুখী আচরণের কারনেই নিজেরাই নিজেদের জালে জড়িয়ে পড়েন।
নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা
নিজেকে নিয়ে যে সুখী নয় সে কখনোই কোনো কিছুতে সুখ খুঁজে পাবেন না। নিজেকে সম্মান করতে না জানলে কারো কাছেই সম্মান পাওয়া সম্ভব নয়। নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করতে যাওয়ার মতো বোকামি সুখী মানুষেরা করেন না কখনোই।
বিফলতাকে ভয়
বিফলতাকে ভয় পেলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সফল হতে হলে বিফলতাকে স্বীকার করে নিয়েই এগুতে হবে। বিফলতাকে ভয় করে জীবনে চলতে থাকলে সুখী হওয়া সম্ভব নয়। সেকারনেই বিফলতাকে ভয় করেন না সুখী মানুষেরা।
ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা
ভবিষ্যতে কি হবে না হবে তা আমরা কেউই জানি না। ভাগ্যের কিছু বিষয় আমরা নিজেরা গড়ে নিতে পারি, এ বাদে ভবিষ্যতে কি হবে তা বলা যায় না একেবারেই। তাই অযথা চিন্তা করে বর্তমানের সুখ নষ্ট করার কোনো অর্থ হয় না। তাই যতোটুকু প্রয়োজন তার বেশি চিন্তা করেন না সুখী মানুষেরা।
(ওএস/এএস/জুলাই ০৩, ২০১৪)