বিনোদন ডেস্ক : শাকিব খানের তরফ থেকে অপুকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠানো হলেও আইনি প্রক্রিয়ায় সেটি কার্যকর হতে সময় লাগবে নব্বই দিন। সবকিছু ভুলে এই তারকা দম্পতি চাইলেই নিজেদের মধ্যে মনকষাকষি ভুলে আবার এক হতে পারবেন!

চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা চাইছেন শাকিব-অপুর সংসার যেন টিকে থাকে। যে বর্ষা তার ভেরিফায়েড ফ্যান পেইজে শাকিব-অপুকে এক হয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে বর্ষা লিখেছেন, আমি একটু মর্মাহত হলাম শাকিব-অপুর সংসার ভেঙে যাওয়ায়। কারণ এতগুলো সফল সিনেমার জুটি তারা। ভেবেছিলাম তাদের নিজেদের মাঝে যেটুকুই মনোমালিন্য হয়েছিল, তা নিজেরাই মিটিয়ে নিয়ে সুখের সংসার করবে। কিন্তু না, তার বিপরীত হলো।

শাকিব খান হঠাৎ অপু বিশ্বাসের নিকট ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে তাদের ৯ বছরের সংসারকে ভেঙে দিলো। এতদিনের ভালোবাসার সম্পর্ককে এত সহজেই ছিন্ন করে দিলো, যা আসলেই মেনে নেয়া কষ্টকর। বিশেষ করে খারাপ লাগছে অপু বিশ্বাসের জন্য, কারণ অপু নিজের পরিবার ও ধর্মকে দূরে ঠেলে সাকিবের কাছে এসেছিল। শাকিবের ওপর ভরসা রেখেই সব ছেড়ে সংসার করেছিল। কিন্তু সবকিছুই সে নিমেষেই শেষ করে দিলো তালাকনামা পাঠিয়ে।

আমাদের একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, আমরা যারা সেলিব্রেটি আছি, সাধারণ মানুষ তাদেরকে আদর্শ মানেন। আর সেই আদর্শের আমরা যদি কিছু দিন পর পর এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেই, তাহলে ভক্তরা কী শিখবে? কী ফলো করবে। আমাদের মতো সেলিব্রেটিদের উচিত একটু শাবানা ম্যাম, শাবনাজ-নাঈম, রাজ্জাক আঙ্কেলের দাম্পত্য জীবন অনুসরণ করা।

কারণ তারা একেকজন কিংবদন্তি হয়েও তাদের সংসার, স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখের সংসার করে গেছেন। আমি আশা করি সাকিব-অপু তাদের পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো স্বরণ করে সব কিছু ভুলে গিয়ে ছোট্ট সন্তানের কথা চিন্তা করে, তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে, নতুন করে সুখের সংসার শুরু করবে।

প্রেম করে শাকিব-অপু বিয়ে করেন ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। কিন্তু ৯ বছর বিয়ের খবর গোপন রাখেন এই তারকা জুটি। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সী ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু বিশ্বাস। বিয়ের খবর প্রকাশের আট মাসের মাথায় বিবাহবিচ্ছেদে গেলেন তারা।

(ওএস/এসপি/ ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭)