স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচনে ২০১৫ সালের মতোই চমক দেয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, এবারও দলের বাইরে থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চেতনার কাউকে মনোনয়নের কথা ভাবছে তার দল।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। দল কয়েকজনের কথা ভাবছে জানালেও এই কয়েকজন কারা, সে বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কয়েক জনকে নিয়ে ভাবছি। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বাহিরেও আমরা প্রার্থী খুঁজছি।’

কাদের বলেন, ‘দলের বাহিরে থেকে প্রার্থী দিলেও তিনি হবেন আনিসুল হকের মতো মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। তবে এখনও আনিসুল হকের মতো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন প্রার্থী আমরা পাইনি।’

২০১৫ সালের এপ্রিলের নির্বাচনে ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হককে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করাটা ছিল চমক। আনিসুল আওয়ামী ঘরনার হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি সরাসরি দলের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। আর তার নির্বাচনে অংশ নেয়ার মতো পরিস্থিতিও কখনও তৈরি হয়নি।

তবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার পর নানা কাজে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেন মেয়র আনিসুল। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তিন দিন পর রবিবার তার পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ১ ডিসেম্বর থেকে পদটি শূন্য ঘোষণা হওয়ায় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এরই মধ্যে দুই প্রধান দল থেকে এবার কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, এ নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে। আবার আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার মতো মেয়রের দাবিও উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এমন প্রার্থী দেব, যিনি আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারেন। যাকে জনগণও বিশ্বাস করবে, তিনি এ কাজ সম্পন্ন কাজ করতে পারবেন।’

প্রয়াত মেয়রের পরিবারের কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে কি না-গণমাধ্যম কর্মীরা এমন প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদেরের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবারের লোক- এ হিসেবে আমরা মনোনয়ন দেব না। যে বিজয়ী হওয়ার মত তাকেই প্রার্থী করব। আমাদের প্রার্থী হবেন উইনেবল প্রার্থী।’

এ প্রসঙ্গে আনিসুল হকের পরিবারকে টেনে না আনার অনুরোধ করে কাদের বলেন, ‘আনিসুল হকের পরিবার এখন শোকের দরিয়ায় ভাসছে। তাই তার পরিবারকে টেনে আনবেন না। এতে তারা বিব্রত হন।’

মেয়র হিসেবে আনিসুল হকের কর্মকান্ড তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘তার আড়াই বছরের কর্মকাণ্ড দেশের সাধারণ মানুষের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

সিটি করপোরেশনে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়য় এই নির্বাচন নিয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, এমন প্রশ্নে সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘নিয়ম মেনেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা হয়েছে। ইসি (নির্বাচন কমিশন) ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে বাধ্য। ’

(ওএস/এসপি/ ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭)