লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : লোহাগড়া উপজেলার ধলইতলা গ্রামে লম্পট যুবকের ধর্ষণের শিকার হয়ে এক কুমারী মেয়ে পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। প্রভাবশালীরা কেড়ে নিয়ে গেছে ওই নবজাতক শিশুকে। ভয়ে পুলিশ কিংবা আইনের সহযোগিতা নিতেও সাহস পাচ্ছেন না তারা।গত মঙ্গলবার  এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, ধলাইতলা গ্রামের মৃত ইলিয়াস ভুইয়ার দরিদ্র স্ত্রী ও সন্তানরা নিজ খুঁপড়ি ঘরে বসবাস করেন। অভাবের সংসার তাদের। নয় মাস আগে পার্শ্ববর্তী কুমারডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোস্ত শেখের লম্পট ছেলে নয়ন শেখ (৩০) ইলিয়াস ভুইয়ার যুবতী মেয়েকে ঘরের মধ্যে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি ।

এক পর্যায়ে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে সবকিছু খুলে বলে।পরে মেয়েটির মা গ্রামের লোকজন ও লম্পট নয়নের পরিবারের কাছে বিচার চেয়ে ব্যর্থ হয়ে উল্টো চাপের মুখে পড়ে।নয়মাস পর গত শুক্রবার রাতে গর্ভবতী কুমারী মেয়েটি বাড়িতে পুত্র সন্তান প্রসব করে।

বিষয়টি জানাজানির পর মঙ্গলবার বিকালে নয়নের বন্ধু ধলাইতলা গ্রামের প্রভাবশালী সোহাগ গাজী, হাফিজুর সহ ৪/৫ জন ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই মেয়েটির কাছ থেকে সন্তানকে নিয়ে যায়। শিশুটির মা ও তার পরিবারের সদস্যরা নবজাতকের খোঁজ পাচ্ছে না। এ ঘটনায় প্রভাবশারীদের ভয়ে থানা বা আইনের সহযোগীতা নিতে সাহস পাচ্ছেন না তারা।

ভূক্তভোগী মেয়েটি জানান, নয়নের লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে নানা ভয় দেখিয়ে আমার পুত্র সন্তানকে নিয়ে চলে গেছে। জানিনা আমার বাচ্চাটি কোথায়। আমি আমার পুত্র সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। ঘটনায় জড়িত নয়নের বিচার চাই। মেয়ের ভাই সৈকতও বোনের সম্ভ্রমহানীর ন্যায্য বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নয়নের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য পলাশ হোসেন জানান,মেয়েটিকে নিয়ে চার মাস আগে সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত নয়নকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।সে টাকা ভূক্তভোগী মেয়েটি বা তার পরিবারের সদস্যরা পায়নি।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পায়নি। তবে ভূক্তভোগীর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল,তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

(আরএম/এসপি/ ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭)