স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ম্যাজিট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ভোটারদের যেভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তাতে করে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের পেছনের দরজা দিয়ে বিজয়ী করতে কারচুপির চেষ্টা করলে জনগণ উপযুক্ত জবাব দেবে। তাই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে সেনা মোতায়েন করার দাবি জানাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুইয়া, আব্দুস সালাম, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান, মুনির হোসেন ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলেও ইসি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধু তাই নয় নির্বাচন কমিশন রংপুর সিটি নির্বাচনে এখনও অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি।

তিনি বলেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৩টিই ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বারবার আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলেও ইসি তার বিরদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা গোটা এলাকায় ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে বলেও প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে শুরু থেকে যেভাবে হয়রানি করা হয়েছে তাও নজিরবিহীন। আমরা আবারো নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই-ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে পেছনের দরজা দিয়ে জেতানোর কোনো চেষ্টা করলে জনগণ তার উপযুক্ত জবাব দেবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে এখনও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি ইসি। নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ তৈরি হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে ভোটাররা এখনও ভয়ভীতির মধ্যেই রয়েছেন। এমন অবস্থায় রংপুর সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কিনা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আমি বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ম্যাজিট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭)