স্টাফ রিপোর্টার : কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার বলেছেন, ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে যে মামলা করা হয়েছে তার সঠিক তদন্ত হয়নি। মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে এর মূল রহস্য উদঘাটন হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।এ দিন ফরহাদ মজহারের স্ত্রী আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহারের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আদালতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৯ জানুয়ারি নারাজি আবেদন ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে সেটিতে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আমরা মনে করে মামলাটির সঠিক তদন্ত হয়নি। তাই আদালতে নারাজি দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন দাখিল করেছি। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৩১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম আদালতে কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেটিতে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

অপরদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ও হয়রানির অভিযোগ দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ৩ জুলাই ভোরে শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার ফোন করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৪। এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭)