স্পোর্টস ডেস্ক : যে কোনো বিবেচনায় এটা বলে দেয়া যায়, হেক্সা প্রত্যাশী ব্রাজিল শিবিরে এখন আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে একটি ব্যয়ব্যঞ্জন শব্দ। আর শব্দটি হচ্ছে ‘কান্না’। কারণ চিলির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে-পরে দলের একের পর এক খেলোয়াড়ের কান্না এবং ভাবাবেগের চেহারা দেখে আশঙ্কায় পড়ে গেছে দেশটির ফুটবল মহল। কারণ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে থাকা দলটির ভারসাম্যহীন ভাবাবেগ নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।

বলা হচ্ছে, স্বদেশে বিশ্বকাপে বাড়তি প্রত্যাশার চাপ, গ্যালারির প্রবল চিত্কার, নিজেদের মানে এখনও পৌঁছতে না পারায় দলের সামনের সারির খেলোয়াড়রাও স্নায়ুচাপে ভুগছেন। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে জেমস রদ্রিগুয়েজের তুলনায় এখন বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রাজিলিয়ানদের মানসিক স্থিরতা।
চিলির বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর সময়েই জাতীয় সংগীতের সময়ে অস্বাভাবিক জোরে চিত্কার করে গাইতে দেখা গেছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের। দর্শকরা তো সমবেতভাবে গাইছিলেন বটেই, কিন্তু সাধারণত এভাবে হঠাত্ ‘দেশপ্রেমিক’ হয়ে ওঠেন না পেশাদার খেলোয়াড়রা। নেইমার তো তখনই কাঁদছিলেন। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানোর পরে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের চোখেমুখে স্পষ্টই উদ্বেগের ছায়া দেখা যাচ্ছিল। সবচেয়ে চিন্তার হয়ে ওঠে অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার আচরণ। তিনি খেলোয়াড়দের সারি থেকে দূরে বলের ওপরে বসে ছিলেন মাথায় হাত দিয়ে। এই আচরণ অধিনায়কোচিত নয় একেবারেই। ব্রাজিলের ক্রীড়া মনস্তত্ত্ববিদ জোয়াও রিকার্ডো কোজাক বলেন, ‘এত ভঙ্গুর মনোবল নিয়ে অধিনায়ক হওয়া যায় না। এর ফলে বিপক্ষ উত্সাহিত হয়েছে, ভেবেছে ব্রাজিল হেরে বসে আছে।’ একই সঙ্গে কোচ স্কলারির আচরণ দেখেই কোজাক ক্ষুব্ধ।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ০৩, ২০১৪)