শফিকুল ইসলাম মিন্টু, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ইসলামিক ফাউ-েশনের মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থীর আবেদন কুড়িয়ে পাওয়া গেল মহাসড়কে। বিষয়টি জানাজানি ও তোলপাড় শুরু হলে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্জিনা আক্তার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে দেন।

তিনি জানান, যেহেতু চাকুরি প্রার্থীদের আবেদন রাস্তায় পড়েছিলো। বিষয়টি নিয়ে নিয়োগ প্রার্থীদের মাঝে অসন্তোষ ও আপত্তি রয়েছে তাই বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ইউএনও’র কার্যালয়ে নির্ধারিত শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা মহাসড়কের তারাকান্দা উপজেলার চরফরিদপুর এলাকায় গৌরীপুর উপজেলার ১৯টি ও ময়মনসিংহের ১টি আবেদন পড়ে থাকতে দেখেন কাশিগঞ্জের মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি কুড়িয়ে পাওয়া এসব আবেদনপত্র গৌরীপুর চুড়ালী জজ বাড়ি জামে মসজিদের চাকুরী প্রার্থী মরহুম আমজাদ আলীর পুত্র মো. আব্দুল হালিমের নিকট জমা দেন।

হালিম জানান, বুধবার সকালে কুড়িয়ে পাওয়া আবেদন বিভাগীয় কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। তবে কতজন আবেদন করেছিলো, রাস্তায় কতজনের আবেদন পড়েছিলো সেবিষয়ে কোন তথ্য জানাতে পারেননি গৌরীপুরের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. হাবিবুর রহমান। যেসব আবেদন কুড়িয়ে পাওয়া গেছে, সে বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেননি। তবে মহাসড়কে চাকুরী প্রার্থীর পড়ে থাকা আবেদন বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ১১টার দিকে আব্দুল হালিম নামে একজন বিভাগীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী।

তিনি জানান, গৌরীপুরের সুপারভাইজার মো. হাবিবুর রহমান আবেদনপত্রগুলো আনা-নেয়ার পথে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলো। শুকরিয়া, সেগুলো পাওয়া গেছে। এদিকে রাস্তায় আবেদন ফেলে রেখেই যাছাই-বাচাই করার অভিযোগ করেন শারমিন আক্তার তানিয়া।

যাছাই-বাচাই কমিটির আরেক সদস্য ময়মনসিংহের ফিল্ড অফিসার কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, চাকুরী প্রার্থীদের সংখ্যা ১৭০জন ছাড়িয়ে যাবে। নির্ধারিত সংখ্যা এই মুর্হূতে বলা যাচ্ছে না। এবার অভিযোগ উঠেছে নিজস্ব লোকজনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য শুরুতেই মানা হয়নি চাকুরীর নিয়োগ বিধি। বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও চাকরি প্রার্থীদের আবেদনের জন্য কমপক্ষে ১৫দিনের সময় দিয়ে ও ২টি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন স্থানীয় একটি জাতীয় পত্রিকায় ৭দিনের সময় বেঁধে দিয়ে ২৪নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এ বিষয়ে বিভাগীয় পরিচালক মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, যেহেতু ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার দিতে হয় না, তাই একটি পত্রিকায় প্রকাশের পর সকল উপজেলায় প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। জেলায় প্রাক প্রাথমিককে ৩০জন ও সহজ কুরআন শিক্ষায় ২২০জন শিক্ষক পদে আবেদন পড়েছে ২হাজারের উপরে। এতে প্রমাণ হয়, ব্যাপক প্রচার হয়েছে।

অপরদিকে চাকরি প্রার্থীরা জানান, নির্ধারিত বক্সে জমা দেয়া আবেদন কিভাবে, রাস্তায় পাওয়া গেলে তা তদন্ত করতে হবে।

(এসআইএম/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭)