টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ মিয়া বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক হিসেবে নাম লিখিয়েছে। আগামি ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামীলীগে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেলদুয়ার উপজেলার দেলদুয়ার গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে মো. সাজ্জাদ মিয়া চারদলীয় জোট সরকারের সময় থানা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তাদের পরিবারটিই জাতীয়তাবাদী আদর্শের একটি পরিচিত পরিবার। তার ভাই মো. আজাদ মিয়া দেলদুয়ার থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানের জেলা বিএনপির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, মো. আব্দুল্লাহ মিয়া দেলদুয়ার উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুব দলের আহ্বায়ক, মো. ওয়াহেদুল্লাহ মিয়া দেলদুয়ার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মো. বাদল মিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি। তার ভাতিজা ও মো. বাদল মিয়ার ছেলে মো. রবিন মিয়া দেলদুয়ার উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তথা বিএনপি সমর্থিত পরিবারের সদস্য মো. সাজ্জাদ মিয়া ২০০৪ সালে এক স্কুল শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের কারণে রাজনীতিতে স্থবির হয়ে দলীয় পদ হারান। পরে সুযোগ বুঝে সত্য গোপণ করে তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক পদটি বাগিয়ে নেন। এ নিয়ে উপজেলায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।

এ বিষয়ে মো. সাজ্জাদ মিয়া জানান, তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। দেশে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল বাতেনের হাত ধরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগে যোগদান করেছেন। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিত্যা ও ভিত্তিহীন।

দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুল হক জানান, এ বিষয়ে জেলার নেতারা বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় মুখরোচক আলোচনা হচ্ছে।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

(আরকেপি/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭)