নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন,‘আমরা সন্তানদের হাতে যদি বই কিনে দেই তা হলে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জল হবে। বই পড়ে কেউ দেউলিয়া হয় না বরং জ্ঞানী হয়। তারা প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা দক্ষতা এবং জ্ঞানের পরিচয় দিতে পারবে, না হলে দেখা যাবে এমএ পাশ করেও চাকুরী মিলছে না।’

তিনি আরও বলেন,‘আগে বই মেলা অনুষ্ঠিত হত জেলা পর্যায়ে। সেখানে স্থানীয় পুস্তক ব্যবসায়ীরা অংশ নিত। এতে মেলার উদ্দ্যেশ্য বাস্তবায়ন হতো না। একারণে বই মেলার তাৎপর্য ঢাকা থেকে জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সরকার জাতীয় পর্যায়ের প্রকাশকদের অংশগ্রহনে প্রথমবারের মতো এমন মেলার আয়োজন করেছে নীলফারীতে।’

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে শহরের বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

“আলো ছড়াতে, আধার তাড়াতে বই পড়ি, পাঠাগার গড়ি” শ্লোগানকে সামনে রেখে নীলফামারীতে জেলা পর্যায়ে প্রথমবারের মতো সাত দিনব্যাপী বই মেলা শুরু হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের উদ্যোগে ওই মেলা চলবে। দেশের জাতীয় পর্যায়ের ৫৫টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, এছাড়াও বাংলা একাডেমী ও ছয়টি সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ আটটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন, গোলাম নবী হাওলাদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, আগামী চার মাসের মধ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগের দুটি করে জেলায় মোট ১৬টি বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সস্কৃতিমন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের সহযোগিতায় এসব মেলার আয়োজন করবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, নীলফামারী জেলার বই মেলার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এটির সূচনা হলো।

সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, ৮ ডিম্বের থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলাটি চলবে। জাতীয় পর্যায়ের ৫৫টি প্রকাশানা প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৬৯টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করেছে এ মেলায় এখানে খ্যাতিমান প্রকাশক, লেখকদের মিলন মেলা ঘটবে। এছাড়াও মেলায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন নাটক।

এর আগে সংস্কৃতিমন্ত্রী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাত থেকে ২২৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে তিন লাখ ১০ হাজার টাকার অনুদান বিতরণ করেন।

(এমআইএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭)