৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি কুমারি মাতার নবজাতক
লোহাগড়ার ওসিকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
৯দিনেও উদ্ধার হয়নি লোহাগড়ায় কুমারি মাতার নবজাতক, ওসিকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউপির ধলাইতলা গ্রামে ধর্ষিতা কুমারি মাতার কোল থেকে নবজাতককে ছিনিয়ে নেওয়ার ৯ দিন পার হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনা অবগত হওয়া সত্ত্বেও আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে আদালত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নিখোঁজ নবজাতকের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ১১ ডিসেম্বর স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ জারি করেছেন নড়াইলের বিজ্ঞ আমলী আদালত, লোহাগড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোঃ জাহিদুল আজাদ ।
৬ ডিসেম্বর কয়েকটি দৈনিকে ‘নবজাতককে কেড়ে নিল পাষন্ডরা, নড়াইলে সন্তান ফিরে পেতে কুমারী মায়ের আকুতি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি বিচারক মোঃ জাহিদুল আজাদের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ৭ ডিসেম্বর স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৯ মাস আগে পার্শ্ববর্তী কুমারডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোস্ত শেখের লম্পট ছেলে নয়ন শেখ(৩০) ধলইতলা গ্রামের মৃত ইলিয়াছের বাড়িতে ঘরের মধ্যে ঢুকে জোর করে তার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তার নিজ বাড়িতে পুত্র সন্তান প্রসব করে। ঘটনাটি দ্রুত জানাজানি হয়ে যায়। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ধলাইতলা গ্রামের প্রভাবশালী মৃত আমান গাজীর ছেলে সোহাগ, হাফিজুর সহ ৪/৫ জন যুবক নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে কৌশলে আখির কোল থেকে তার সদ্য জন্ম গ্রহণকৃত পুত্র সন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কিশোরী ও তার পরিবার এখন জানেনা ওই শিশুটি এখন কোথায়? প্রভাবশালীদের চাপ এবং লোহাগড়া থানার ওসির তৎপরতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয়সহ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও লোহাগড়া থানা পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো ধর্ষিতা ও তার মা’কে দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাজানো জবানবন্দী নিয়ে ঘটনাটি মিথ্যা প্রমানের চেষ্টা করছে বলে একটি সুত্রে জানা গেছে।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান,ঘটনাটি মিথ্যা,ধর্ষন এবং সন্তান প্রসবের মতো কোন ঘটনাই ঘটেনি। ভিকটিমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর লিখিত কাগজপত্র আদালতে হাজির করবেন।
(আরএম/অ/ডিসেম্বর ১০, ২০১৭)