গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বোর্ড এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে দূরপাল্লার একটি বাসের সঙ্গে অপর একটি মাহেন্দ্র গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলে একই পরিবারের দুই জন নিহত ও চারজন গুরুতর ভাবে আহত হন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন দুলাল চন্দ্র দত্ত ও তাঁর ছোট ছেলে সঞ্জয় দত্ত। তাঁদের বাড়ি রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুর এলাকায়।

গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত দুলাল চন্দ্র দত্ত রাজবাড়ী জেলা শহরের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ী থেকে একটি মাহেন্দ্র গাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে দুলাল দত্ত তাঁর শ্যালকের বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার মাচাইল গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বোর্ড এলাকায় পৌছাতেই বিপরিত দিক থেকে আসা সোনার তরী নামে বরিশালগামী একটি দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে ওই মাহেন্দ্র গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মাহেন্দ্র গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে মাহেন্দ্রর যাত্রী দুলাল চন্দ্র দত্ত (৪৫) ও তাঁর ছোট ছেলে সঞ্জয় দত্ত (১০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় দুলাল দত্তের স্ত্রী গীতা রানী দত্তসহ তাঁর পরিবারের সঞ্জীব দত্ত (২৩), সমু দত্ত (২৫) ও মাহেন্দ্র গাড়ির চালক আরিফ হোসেন গুরুতর ভাবে আহত হন। তাদের সকলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বোর্ড এলাকায় স্পিডব্রেকার নির্মানের দাবীতে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে থানাপুলিশসহ গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার জানান, ‘ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক পলাতক।’


(জিএসপি/এএস/অ/জুলাই ০৩, ২০১৪)