অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : সেদিন ঢল নেমেছিলো পাথরঘাটা কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। অঘ্রানের এক টুকরো সোনারোদ। এই রৌদ্রমাখা প্রকৃতির চারদিকে আলোর বিচ্ছুরোন। কৃত্তিম দোয়েল অংকিত একটি সড়কযানে  আসলেন প্রধানমন্ত্রী (!) মুখে সেই নির্ভেজাল হাসি।

একদম সেই কাচাপাকা চুল। হাতাওয়ালা জামা। হাত নেড়ে জনতার মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মমতাময়ী একজন মা। যিনি এই বাংলার মা-মাটি ও মানুষের নির্ভরতার প্রতিচ্ছবি। দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ আয়োজন।

বিশ্বের সৎ সরকারের প্রধান হিসাবে সততার শীর্ষ তিনে অবস্থান আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে সংবর্ধনা দিতেই পাথরঘাটা আদর্শ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই মহায়োজন। বিশাল ব্যানারে গণতন্ত্রের মানষ কন্যা বিশ্বরত্ন শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে প্রাণঢালা অভিনন্দন এবং সংবর্ধনা জানানো হল। দশম শ্রেণির মারিয়া আর নবম শ্রেণির সূচি দু-দুজন প্রতীকি শেখ হাসিনা দর্শনার্থীদের বিমুগ্ধচেতনা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসার জবাব দিয়েছেন হাত উচিয়ে। এযেনো এক মমতাময়ী মায়ের প্রতিচ্ছবিকে কাছে পাওয়া। এযেনো এক টুকরো ভালবাসা।

হয়তো শারীরিক উপস্থিতি ছিলনা তার। তবুও শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় যেনো সিক্ত হলেন বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। প্রতীকি এই আয়োজনে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সন্মাননা স্মারক ক্রেস্ট) হাতে তুলে দেয়া হল। গাড়ি থেকে নেমে বেগম সুফিয়া কামালের মত দীপ্ত পায়ে হেটে হাত নেরে মঞ্চের ডায়েসে দাড়ালেন নিপীড়িত আর শোষিত মানুষের প্রিয়নেত্রী। মাঠের চারদিকে তখন মুহুর-মুহুর করতালি।

শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হল বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। অবশেষে শোনালেন গনমানুষের প্রধানমন্ত্রী প্রিয়নেত্রী তার অগ্নিঝড়া ভাষন। চারদিক থেকে তখন আওয়াজ উঠল ”আর কোনো দাবী নাই, হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র চাই।” ”শেখ হাসিনার উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়ন।”

শেখ হাসিনা এসেছে, পাথরঘাটা জেগেছে।” না-ই বা হল এইসব খেটেষাওয়া মানুষের শেখ হাসিনা দর্শন! দিনশেষে ছেড়া বালিশের সাথে মাথা ঠেকানোর দীর্ঘশ্বাসে অন্তত তৃপ্তির ঢেকুর তোলা-তো হল? হায় ভালোবাসা! দেশকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্নে যে মানুষ অহর্নিশি মহাকর্মে থাকেন মহাব্যস্ত। কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির থেকে শুরু করে জাতিসংঘের সন্মেলন। দেশ-দেশান্তর ছুটেচলা যার নিরন্তর। সেই কর্মবীরের এতটুকু সময় কি মিলবে দেখার সাগরপারের এইসব মানুষের ভলবাসার নিদর্শন?

(এটি/এসপি/ডিসেম্বর ২০, ২০১৭)