সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ঘোষণা দিয়ে স্কুলছাত্রী মুন্নি খুনের ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় মূল আসামি ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে সিলেট নগরীর জালালাবাদ থানার মাসুক বাজার এলাকার দরশা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান এই তথ্য জানান।

গত সোমবার বিকালে নিহতের মা রাহেলা বেগম ইয়াহিয়া সর্দারসহ দুইজনকে আসামি করে দিরাই থানায় মামলা করেন। এর পর ওই দিন বিকালে পুলিশ এই মামলার দ্বিতীয় আসামি তানভির আহমেদ চৌধুরীকে কলেজ রোড়ে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান জানান, মুন্নি হত্যার পর থেকেই এহিয়াকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেই বুধবার রাতে গোপন সংবাদে তাকে সিলেট জালালাবাদ থানার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মুন্নির মা রাহেলা খাতুন জানান, আমার মেয়ের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন যদি সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে এই ঘাতকের ফাঁসি দেয়া হয়, তাহলেই আমি কিংবা দেশবাসী ন্যায় বিচার পাবে। তাই সরকারের কাছে দাবি মুন্নি হত্যার খুনিকে যেন সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনা হয়।

প্রসঙ্গত, দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী ছিল মুন্নি আক্তার। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এহিয়ার হাতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় ঢুকে নিজ হাতে ছুরিকাঘাতে খুন করে এহিয়া সরদার ও তার সহযোগীরা।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২১, ২০১৭)