উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : পেকুয়া উপজেলার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন জাতীয়করণ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর।

সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ অভিনন্দন জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের সদ্য ঘোষিত তালিকার শীর্ষে রয়েছে পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের নাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সরকারীকরণ হতে যাচ্ছে এটি অত্যন্ত খুশির খবর। এটি পেকুয়াবাসীর সৌভাগ্যের ব্যাপার। এ বিদ্যালয়টি সরকারী করণে দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল পেকুয়াবাসীর।

১৯২৯ সালে পেকুয়ার হতদরিদ্র জনগোষ্টির সন্তানদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে প্রতিষ্টা করেছিলেন পেকুয়া জমিদার বাড়ীর প্রখ্যাত জমিদার মরহুম গুরামিয়া চৌধুরী। এ বিদ্যালয়টি শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিভিন্ন সালে বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে জেলা তথা বোর্ডে সুনাম অর্জন করে চলেছে। এপর্যন্ত বোর্ড ফলাফলে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের মধ্যে এটি জেলার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ প্রতিষ্টানটিতে বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার ছাত্রছাত্রী এবং এমপিওভুক্ত ও খন্ডকালিনসহ মিলিয়ে ২৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে। কিন্তু এতদিন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সরকারী সুযোগ বঞ্চিত ছিল।

এদিকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় অধিষ্ট হওয়ার পর প্রতিটি জেলায় একটি করে কলেজ এবং একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের ঘোষণা দেয়। সেই ঘোষণা অনুয়ায়ী পেকুয়া উপজেলায় এ শিক্ষাপ্রতিষ্টানটি তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে।

তাই পেকুয়াবাসীর পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।

(ওএস/অ/ডিসেম্বর ২১, ২০১৭)