টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দূর্নীতি অভিযোগে ওই পরিষদের ১২ জন সদস্য জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিতভাবে অনাস্থা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

লিখিত অভিযোগপত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২ নং নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে মোঃ মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকী ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ভিজিডি কার্ডের চালে স্বজনপ্রীতি, দারিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা, আত্মসাৎ হাট বাজারের টাকা আত্মসাৎ, বয়স্কভাতা কার্ডে ৩/৪ হাজার টাকার বিনিময়ে বিতরণ, আদায়কৃত হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা, সদস্যদের ভাতা, জন্মমৃত্যু নিবন্ধন সনদ, ওয়ারিশান সনদ এবং ট্রেড লাইসেন্স এর টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার দূর্নীতি করেন।

এমনকি চলতি বছরের ১৪ মার্চ তার এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীকে উপজেলার এলেঙ্গা রিসোর্টে ধর্ষণের অভিযোগে কালিহাতী থানায় একটি মামলা (নং- ১৫/২০১৭ ইং, জি,আর নং- ৬১/২০১৭ ইং) দায়ের করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই চেয়ারম্যানকে এ বছরের ১২ আগস্ট গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম। দীর্ঘ ৭০ দিন পর মিল্টন চেয়ারম্যান জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব না পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে জোরপূর্বক ভাবে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হন।

এ বিষয়ে নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ওয়ার্ডের সদস্য ও সংরক্ষিত ৩ জন মহিলা সদস্য লিখিতভাবে গত ২০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ে দূর্নীতির এবং জেলা প্রশাসকের নিকট অনাস্থার অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়গুলো আমি জানি না এবং বর্তমানে আমি নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও নেই।

(আরপি/এসপি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭)