ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে পরকিয়ার অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে নিহতের বোন ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে গতকাল হরিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

আসামীরা হলেন- হরিপুর বালিয়া পুকুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও মো: হাসিবুল উভয়ের পিতা মৃত-সাদেক।মোছা: সাজিরন,স্বামী-মৃত সাদেক।তোড়রা ইসলামপুরের মো: কালাম,পিতা-মৃত নিহারু মোহাম্মদ।চোরঙ্গী বাজার এলাকার আব্দুল কাদের,পিতা-মৃত লোকমান।হরিপুর খামার এলাকার মোছা: ফোরকুন, স্বামী- মো: আদু এবং রাণীশংকৈল বাশবাড়ী এলাকার আলী হোসেন এর ছেলে তরিকুল ইসলাম।

অভিযোগে জানা যায়, আনুমানিক দশ মাস পুর্বে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মুন্সিপাড়া এলাকার ফিরোজা বেগমের বোন মৌসুমী আক্তারের সাথে হরিপুর উপজেলার মৃত সাদেক আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরের শরীয়া মোতাবেক বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকেই জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে মৌসুমী আক্তারকে একাধিকবার মারপিট করে।সর্বশেষ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে তাকে মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়।উপায়ান্তর না পেয়ে ঐদিনই মৌসুমী মায়ের বাসায় চলে আসে।

এদিকে ২০ ডিসেম্বর কৌশলে তার স্বামী আবারও তাকে বাড়ী নিয়ে যায় এবং রাতে পরকিয়ার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ১০১ দোররা মেরে গুরুতর জখম করে।এতে মৌসুমী আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং অবস্থার অবনতি হলে ২১ ডিসেম্বর সে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।পরে মৌসুমীর আত্মীয়দের ফোন করে জানানো হয় মৌসুমী আত্মহত্যা করেছে।

বাদি ফিরোজা জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করেনি।তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।আমি আমার বোন হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এ ব্যাপারে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: রুহুল কুদ্দুস বলেন,ঘটনার দিন মৃতের মায়ের অভিযোগে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।এছাড়াও মৃতের সৎবোন ফিরোজা বেগমও অভিযোগ করেছেন।লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এফআইআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭)