বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলে আমন ধানের বাজার মূল্য সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। আজ সোমবার দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম ধানের হাট কালাইয়ায় প্রতিমন আমন ধান ১ হাজার ১ শ’ টাকা দরে (৫০কেজি) বিক্রি হয়েছে। ধানের উর্ধমূল্যের কারণে দারুন খুশি কৃষক-কৃষাণী । অকাল বৃষ্টির ক্ষতি কাটি ওঠার আশা করছেন তারা।

সরেজমিন কালাইয়ার হাটে দেখা গেছে, লাখ লাখ মণ ধান নিয়ে এসেছেন কৃষকরা বিক্রির জন্য। ধান কেনার জন্য ব্যাপারিরাও হাজির হয়েছেন ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, ঝালকাঠী, দিনাজপুর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। দুপুর পর্যন্ত প্রতিমণ (৫০ কেজি) মোটা ধান ১ হাজার ১ শ’ টাকায় বেচাকেনা চলছিল।

উপজেলার চর ফেডারেশনের কৃষক ওমর আলী, কালাইয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন বলেন, ‘অগ্রানে (অগ্রহায়ন) অকাল দেওইতে (বৃষ্টিপাতে) আমুনের ব্যপক ক্ষতি অইছে। ক্ষেতে পানি জইম্যা আছে। নীচু জমির ধান দাওনে কস্ট অয়। তয় দর এ রোহম ভাল থাকলে লোকসান কমবে।’

চন্দ্রদ্বীপের বাদল প্যাদাসহ কয়েকজ কৃষকরা জানান, কালাইয়ার হাটে গত কয়েক বছরে মন প্রতি শ’ টাকার উপরে ধান বিক্রি হয়নি। কেবল এ বছর তা রেকর্ট ভেঙ্গে ১ হাজার ১ শ’ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে।

কালাইয়া বন্দরের আড়ৎদার কার্তিক সাহা, মানিক লাল কুন্ডু, গৌতম বণিক, মাসুদ রানা ও জয়নাল সরদার জানান, ধানের চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু ফলন কম হওয়ায় মূল্য বেড়ে গেছে। যেভাবে চাহিদা বাড়ছে তাতে দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান জানান, অকাল বর্ষণ না হলে ধানের উৎপাদনে রেকর্ড হতো। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম ধানের মোকাম কালাইয়া বন্দরে ধান ক্রয় করতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারিরা আসেন। ধান মজুত ও প্রক্রিয়া করণের ব্যবস্থা এ অঞ্চলে থাকলে চালের মূল্যে এখানে প্রভাব পড়তো না।

(এমএবি/এসপি/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭)