স্বাস্থ্য ডেস্ক : মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে নানা গুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় আছে আমিষ ১ দশমিক ৪ গ্রাম, শর্করা ৪ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি ০ দশমিক ৫ গ্রাম, খনিজ লবণ ০ দশমিক ৭ গ্রাম, ভিটামিন বি ০ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ২৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৮ মিলিগ্রাম, কোলোস্টেরল দশমিক ০৬ মিলিগ্রাম, লোহা ০ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম ও বিটা ক্যারোটিন ৭২০০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়াও বি কমপ্লেক্স, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফ্লেভনয়েড পলি ফেনলিক, অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট উপাদান সমূহ যেমন লিউটিন, জ্যানথিন রয়েছে।

মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। বিটাক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি তাই চোখের জন্য খুবই ভালো। রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু চোখের অসুখ নয়, ভিটামিন এ এর অভাবজনিত অন্যান্য রোগেও মিষ্টি কুমড়া উপকারী।

গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য কুমড়া অনেক উপকারী খাদ্য। এটি পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও কুমড়ার আয়রন বাচ্চাকে অক্সিজেন দিতে সাহায্য করে ও মায়ের রক্তশূন্যতা রোধ করে।

মিষ্টি কুমড়াতে অধিক পরিমাণে বিটাক্যারোটিন। বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যে সব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। মিষ্টি কুমড়া ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে পারে।

মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ দূরে রাখে। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন উপাদান প্রস্রাবের সমস্যা কমায় ও কিডনিতে পাথর হতে বাধা প্রদান করে।

মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়া ভূমিকা রাখে।

মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও আলফা হাইড্রোক্সাইড। জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া বয়সের বলিরেখা মুছে ত্বক উজ্বল করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭)