স্টাফ রিপোর্টার : রমজানের আড়াই মাস বাকি থাকতেই পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। বাকি সময়ের আমদানি সম্পন্ন হলে মজুদ আরো বাড়বে। এসব বিবেচনায় রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

হিসাব মতে, রমজানে দেশে ছোলার চাহিদা ৬০ হাজার টনের মতো। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত তিন মাসেই পণ্যটি এসেছে ৫২ হাজার টনের বেশি। এ সময়ে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে প্রায় ২ লাখ টন। এর বিপরীতে গত তিন মাসে বন্দরে সয়াবিন ও পাম অয়েল খালাস হয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, রমজানে খেজুরের চাহিদা রয়েছে গড়ে ৩০ হাজার টন। গত তিন মাসেই বন্দর দিয়ে খেজুর খালাস হয়েছে ১৫ হাজার টন। তবে ডিসেম্বর থেকে হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ হাজার টন। রমজানে আড়াই থেকে তিন লাখ টন চাহিদার বিপরীতে গত তিন মাসে চিনি (পরিশোধিত ও অপরিশোধিত) খালাস হয়েছে ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৫৩ টন। একই সময়ে বন্দর দিয়ে মসুর ডাল খালাস হয়েছে ৪৫ হাজার ৩১২ টন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি তথ্য বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি-বেসরকারি খাতে ২ লাখ ২৪ হাজার টন চিনি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়। এ সময় ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয় ২ লাখ ১ হাজার টনের। মার্চের প্রথম ১৫ দিনে চিনি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয় ৩৯ মিলিয়ন ডলারের। এ সময়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয় ৩৫ মিলিয়ন ডলারের।

ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ৯৪ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়। এর বিপরীতে নিষ্পত্তি হয় ৬৪ হাজার টনের। অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির জন্য ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয় ৭৫ হাজার টনের। মার্চের প্রথম ১৫ দিনে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয় ৩১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলারের। এর বিপরীতে নিষ্পত্তি হয় ১১ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারের। অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে একই সময়ে খোলা ৪৫ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার ঋণপত্রের বিপরীতে নিষ্পত্তি হয় ২১ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলারের। এছাড়া শুধু ফেব্রুয়ারিতেই ৩ হাজার টন খেজুর, ১২ হাজার টন মসুর ও ৬ হাজার টন ছোলা আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ১২, ২০১৪)