মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি : ২৮ ডিসেম্বর নোয়াখালীর ৩ টি ইউনিয়ন ধর্মপুর ইউনিয়ন, নোয়ান্নই ইউনিয়ন ও নোয়াখালী ইউনিয়নে একযোগে অনু্ষ্িঠত হতে যাচ্ছে, ইউপি নির্বাচন ২০১৭ ।  

উৎসব মুখর পরিবেশে মাধ্যমে শেষ হলো, শেষ দিনের প্রচারনা, অফিস ভাংচুর, হামলা হুমকি সহ দু'দলেই রয়েছে নানা অভিযোগ, সুষ্ঠ ভোট হওয়া নিয়ে ভোটারা রয়েছেন শঙ্কায়। ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বার শেষ দিনের প্রচারনায় দুপুর ২ টা থেকে প্রচারনা প্রচারনায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছিলেন সরকার দলীয় নৌকা সমর্থিত প্রার্থীরা।

পথসভা, গণসংযোগ, মাইকিং ও পরিবহনে নাচ গানের মাধ্যে শেষ হলো শেষ দিনের প্রচারনা। তবে ৩ টি ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রার্থীদের কোন জোরালো প্রচারনা চোখে পড়েনি, স্বরজমিন ঘুরে দেখা যায় নির্বাচনের জন্য ভিবিন্ন জায়গায় ধানের শীষ এবং সতন্ত্র প্রার্থীদের অফিস ভাংচুরের দৃশ্য।

নোয়াখালী ইউনিয়ন ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্ধীতা করছেন নুরনবী বাবুল তার বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় তিনি লুঙ্গী পরে অলস সময় কাটাচ্ছেন! নির্বাচনের শেষ দিনেও তিনি বাড়ীতে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ করে বলেন, নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর ভাড়াটিয়া বহিরাগত লোক তাকে বাড়ী থেকে বের না হতে হুমকি দিচ্ছেন এবং তার সমর্থক কর্মিদের প্রাননাশের হুমকিতে তিনি অনেকটাই গৃহবন্দি সময় কাটাচ্ছেন।

ধর্মপুর ইউনিয়নের মোটর সাইকেল নিয়ে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর হাসান মঞ্জু বলেন, গত ৪ দিনে তার ৫ টি অফিসে হামলা ভাংচুর করেছে চশমা প্রতিক নিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীর ভাড়াটিয়া কর্মিরা, তিনিও নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া নিয়ে শঙ্কিত ও আতংকিত বোধ করছেন।

৭ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের ধানের শীষ প্রতিক প্রার্থী আলা উদ্দিন মিলনের সমর্থকরা জানান, দৈনিক ৫/৬ বার করে সরকার দলীয় প্রার্থীর ক্যাডার বাহিনীরা প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন এবং নির্বাচনী প্রচারনা না চালানোর জন্য হুমকি প্রদর্শন করছেন। ২৮ তারিখ বৃহস্পতিবার ভোট সুষ্ঠ হওয়া নিয়ে তারা সন্ধেহ প্রকাশ করছেন।

ধর্মপুর ইউনিয়নের চশমা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান সাবুর সাথে আলাপ কালে তিনি সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে মন্তব্য করেন, তিনি বলেন বিএনপি সহ অন্যন্য দলের প্রার্থীদের জনসমর্থন নেই বলে তারা নিজেদের অফিস নিজেরাই ভেঙ্গে আমাদের নেতা কর্মি সমর্থকদের দোষারোপ করছেন।

তবে ইউপি সদস্য (মেম্বার) পদ প্রার্থীরা রয়েছেন বেশ খোশ মেজাজে, তারা আশা করছেন, নির্বাচন সুষ্ঠ হবে। নোয়াখালী ইউনিয়নের জনসাধারণ বলেন, মামলা জটিলতার কারনে দীর্ঘ ২৩ বছর পর এলাকাবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলেও চারিদিকে হামলা এবং সুষ্ঠ ভোট হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

নোয়ান্নই ইউনিয়ন ঘুরেও দেখা যায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পার্থীর একাধিক অফিসে ভাংচুরের দৃশ্য। বিরোধীদল সহ সতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট সুষ্ঠ করার লক্ষে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। তবে অনেকেই বলছেন বর্তমান পরিস্থিতি যাই হোক বৃহস্পতিবার হবে নৌকা ধানের লড়াই। নির্বাচনী আমেজে হাট বাজার দোকান পাটে চলছে চায়ের কাপে ঝড়, আলোচনা আর সমালোচনায় শীতের মধ্যেও গরম অনুভব করছেন নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণ।।

(আইইউএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭)