রাজবাড়ী প্রতিনিধি : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ হতে ৪ জানুয়ারী ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা এডভোকেসি ও প্রেসব্রিফিং সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যানগণ ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরো।

সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। বক্তরা বলেন স্বাস্থ্য কমীদের মাঠে ঠিকমত কাজ না করা, নিজ ইউনিয়নের চাকুরীর সুবাধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দলীর লেবাজে চাকুরীতে যোগদান করে উপরোস্ত কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে জিম্মি করে রাখা, রাত্রে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না থাকা সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন বক্তরা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাচ্চু বলেন তার নিজ ইউনিয়নের দেড় বছরে কোন সভা করেন নাই ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক লিটন কুমার দাস। এসময় লিটন কুমার দাস উপস্থিত সভায় কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। জেলায় একমাত্র মা ও শিশু কণ্যার কেন্দ্রের অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খোন্দকার আব্দুল মতিন। তিনি বলেন ডাক্তার গোপাল বিশ্বাস এই কেন্দ্রে বছরে কতগুলো সিজার করেছেন? এ প্রশ্নের জবারে জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ আজম তার লোকবলের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী জানান কোন অযুহাত তিনি শুনতে চান না।
বেসরকারি সেবার মানের সাথে পাল্লা দিয়ে সরকারী সেবা জনগণের কাছে পৌছাতে না পারার দায়ভার গ্রহণ করে গোলাম মোঃ আজম বলেন, আগামীতে চেষ্টা করে যাওয়া হবে সরকারী সেবা যাতে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছানো যায়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, সবক্ষেত্রেই জনবল কিছুটা সংকট রয়েছে এটাকে অযুহাত হিসাবে তৈরি করে সাধারণ মানুষকে সেবা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য আপনাদের বেতন ভাতা দ্বিগুণ করেছে, সরকারী চাকুরী নামের একটি সোনার হরিণ পেয়েছেন কিন্তু সেভাবে সেবা প্রদান করতে পারছেন না। তিনি পরিবার পরিকল্পনা রাজবাড়ী জেলার উপ-পরিচালককে বলেন ঢাকঢোল পিটিয়ে কোন কর্মকর্তা কি করছে খোঁজ নিতে গিয়ে কোন লাভ হবে না। তিনি আরো বলেন জেলা প্রশাসক সরকারের তৃনমুলে সেবা প্রদানের বড় হাতিয়ার, স্ব-স্ব অফিসের কর্মকর্তারা যদি অব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে তবে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।