সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়া শিখে না আসার অপরাধে ২১ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামে মাষ্টার আব্দুর রহমান একাডেমী এ ঘটনা ঘটে। স্থানয়ি সূত্রে জানা যায়, মধ্যপাড়া মাস্টার আব্দুল রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস চলাকালে মারুফ হোসেন, মল্লিকা আক্তার, মিথিলা আক্তারসহ ২১ পরীক্ষার্থীকে এই বেত্রাঘাত করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক কেএম জিয়াউল হক। এ সময় তিনি ইংরেজি বিষয়ে কোচিং ক্লাস নিচ্ছিলেন।

পরীক্ষার্থী মারুফ হোসেন অভিযোগ করেন, আগের দিনের পড়া শিখে না আসার অপরাধে পরীক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস চলাকালে ওই বেত্রাঘাত করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং ওই স্কুল শিক্ষকের বিরোদ্ধে মিছিল বের করলে মধ্যপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দূল করিম শেখ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিবেন্দ্র চক্রবর্তী জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান বেশ ভালো ভূমিকা নিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বুধবার দুপুরে মধ্যপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজী করিম শেখকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিস্ট দন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুয়ায়ী আগামী শুক্রবার বিষয়টি বসে সমাধান করা হবে।

মধ্যপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দূল করিম শেখ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তা ছাড়া উত্তেজিত জনতার হাত থেকে শিক্ষককে উদ্ধার করি। শুনেছি অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক কেএম জিয়াউল হক এর আগেও ছাত্রছাত্রীদের বেধর মারধর করেছেন। অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক কেএম জিয়াউল হক বলেন- পড়াশোনা না করার অপরাধে কোচিং ক্লাসে ওই পরীক্ষার্থীদের শাসন করেছি।

(এসডিআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭)