মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলা ইজতেমা মাঠের মূল প্যান্ডাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ডিসেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রায় সাড়ে চারলক্ষ স্কয়ার ফিট এর বিশাল এই চটের প্যান্ডালের কাজ শুরু করেছেন তাবলীগ জামাতের সাথীরা । 

মাঠের জিম্মাদার ও জেলা তাবলীগ জামাতের শুরা সদস্য মোঃ ময়নুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারী থেকে তিনদিন ব্যাপী সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে গণপূর্ত বিভাগের নির্মানাধিন প্রকল্প এলাকায় (উপশহর) প্রথম বারের মত জেলায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ইজতেমায় প্রায় দশলক্ষ মানুষের সমাগম হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

মাঠের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ থেকে তিন হাজার কুটির উপর তৈরি হবে লক্ষাধিক মানুষের বসার উপযোগী বিশাল চটের প্যান্ডাল। প্যান্ডাল তৈরিতে কুটি বসানো সহ সার্বিক কাজে স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা , শেখবাড়ী , সদর উপজেলার জামেয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসা, দারুল উলুম, রায়পুর ও আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী সহ তাবলীগ জামাতের সাথীরা।

পাশাপাশি মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ফজলুর রহমান এর তত্ত্ববধানে পৌসভার নিজস্ব শ্রমিক ও যানবাহন দিয়ে মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। অপরদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে তাবলীগ জামাতের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে ৬শত স্যানিটারী লেট্রিন , অজু ও গোসলের জন্য বিশাল পানির হাউজ। বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ৮টি গভির নলকুপ , এসব নলকুপ থেকে ৪টি ৪৮ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্লাষ্টিকের অস্থায়ী পানির ট্যাংক স্থাপন করে তা সংযোগ হবে একহাজার ফুট দীর্ঘ পানির মূল হাউজের সাথে ।

মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পার্থ সারথী পাল কানন গগো জানান,
ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে ইতিমধ্যেই জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সত্যকাম চক্রবর্তীকে আহবায়ক করে ও আমাকে সদস্য করে কমিটি করা হয়েছে । এই কমিটি মাঠের জিম্মাদারদের সাথে সমন্নয় করে নির্ধারিত সময়ের পুর্বেই মাঠের দক্ষিন দিকে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করবেন।

এদিকে ইজতেমা আয়োজনকে নির্ভিগ্ন করতে পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাবলীগ জামাতের সহায়তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে মনিটরিং করা হবে মাঠ ও মাঠের আশ পাশের এলাকাকে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহম্মদ জানান, তাবলীগ জামাতের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাঠ এবং মাঠের বাহিরের এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হলে প্রয়োজন হবে প্রায় ২৫০টি সিসি ক্যামেরা , এত সংখ্যক ক্যামেরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে একা বসানো সম্ভব হবে না । তিনি বলেন আমরা তাবলীগ জামাতের মুরব্বীদের সাথে কথা বলেছি এ কাজে সহযোগীতা করার জন্য।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭)