জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : জকিগঞ্জে সীমান্ত নদী কুশিয়ারার ভয়াবহ ভাঙনের মুখে উপজেলার ছবড়িয়া, শষ্যকুড়ি, ছয়লেন পালপাড়া, কেছরী, সোনাপুর, বড়পাথর, মাঝরগ্রাম, বড়ছালিয়া, উজিরপুরসহ উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রাম। হুমকির মূখে রয়েছে বড়চালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভুমিহীন হচ্ছেন শতশত পরিবার। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ঘরবাড়ী ও ফসলী জমি।

নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে কুশিয়ারা বেড়ী বাঁধ। অপরদিকে নদীর অপারে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল চর। কুশিয়ারা নদী বাংলাদেশ ভারত সীমান্তনদী হওয়ায় নদী ভাঙ্গনে সংকুচিত হচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত অপর দিকে ভরাট হচ্ছে ভারতের অংশ।

জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর ব্যাহত নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষে বুধবার বিকালে জকিগঞ্জ শহরের এম.এ.হক চত্বরে আমরা জকিগঞ্জবাসীর ব্যানারে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এম.এ.জি. বাবরের পরিচালনায় মানববন্ধনে অংশ নেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধ হাজি খলিল উদ্দিন, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি বদরুল হক খসরু, সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মালিক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল আহাদ, সোনার বাংলার এমডি জাফরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কমরু, শাহাব উদ্দিন শাকিল, দেলোয়ার হোসেন নজরুল, সাবেক কাউন্সিলর ময়নুল হক রাজু, আল-ইসলাহ্ নেতা মাওলানা ফদ্বলুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিত, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বাবর হোসাইন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা উদ্দিন, আপ্তাব উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম, হিফজুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নিস্ব হচ্ছে জকিগঞ্জের মানুষ। ঘরবাড়ী হারিয়ে ভুমিহীন হচ্ছে শতশত পরিবার। নদী ভাঙ্গনে বারবার ঘরবাড়ী বদল করেও রেহাই পাচ্ছে না নদী পারের মানুষ। ক্ষেতের জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় অনেক পরিবার মানবেতরভাবে দিন যাপন করছে। সীমান্তনদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে দেশের আন্তর্জাতিক সীমারেখা পাল্টে যাচ্ছে। সর্বস্থরের জনগনের প্রাণের দাবী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে জকিগঞ্জ সীমান্তের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন আরোও ভয়াবহ রূপ নেবে।

(এসপি/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭)