স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে উঠেছেন রজার ফেদেরার ওয়ারিঙ্কার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর। উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে শুরুতে ফেদেরারকে জোড় ধাক্কা দিয়েছিলেন ওয়ারেঙ্কা। প্রথম সেটে হেরেই কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু করেন সুইস এই তারকা। ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে তার দল ছিটকে যাওয়ার হতাশা নিয়েই এদিন টেনিস কোর্টে নেমেছিলেন তিনি।

রজার প্রথমে আটকে গেলেও ঘুরে দঁড়াতে সময় নেননি। দ্বিতীয় সেট থেকেই ম্যাচ চলে আসতে থাকে তার দখলে। কঠিন ফাইট দেন ওয়ারেঙ্কা। টাইব্রেকারে গড়ায় দ্বিতীয় সেট। কিন্তু শেষ দুটো সেট সহজেই জিতে উইম্বলডনে এ পর্যন্ত ৯ রার সেমিফাইনালে পৌঁছলেন রজার ফেদেরার। তিনি ওয়ারেঙ্কাকে হারান ৩-৬, ৭-৬ (৭/৫), ৬-৪, ৬-৪ সেটে।

জিতে ফেদেরার বলেন, ‘সেন্টার কোর্টে খেলা সব সময়ই খুব চ্যালেঞ্জিং। আর ১৯৯৮ সাল থেকে লন্ডনে আমি দারুণ সমর্থন পেয়ে এসেছি। গত বছরটা ভালো যায়নি। উইম্বলডন সব সময়ই খুব স্পেশাল। আমি খুশি এবার এখনও পর্যন্ত ভালো যাচ্ছে।’ ওয়ারিঙ্কার প্রশংসা করে বলেন, ও প্রথম দুটো সেটে খুব ভালো লড়াই করেছে। তবে আমার মনে হয় ও ফিটনেস সমস্যায় ভুগছে।’ দুই সুইস তারকার লড়াইয়ে এবার বাজিমাত অভিজ্ঞতারই৷

নোভাক জকোভিচ অন্যদিকে এই নিয়ে টানা পাঁচবার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছেছেন। এই নিয়ে টানা ১০ বার মার্লিন সিলিককে হারালেন জকার। ফেদেরার যখন প্রথম সেট হেরে শুরু করলেন ঠিক তখনই প্রথম সেট দুরন্তভাবে জিতেই কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু করেন জকোভিচ। কিন্তু প্রথম সেট জিতে দ্বিতীয় সেটে সিলিকের কাছে হেরে যান তিনি। তৃতীয় সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। কিন্তু এবারও বাজিমাত করেন সেই সিলিকই। পরের সেটেই ঘুরে না দাঁড়ালে উইম্বলডনের আরও একবার ইন্দ্রপতন হয়ে যেত। এমন অবস্থায় পর পর দুটো সেট জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন জকার। তিনি সিলিককে হারালেন ৬-১, ৩-৬, ৬-৭ (৪/৭), ৬-২, ৬-২ সেটে।

সেমিফাইনালে পৌঁছে তিনি স্বীকার করে নেন কতটা কঠিন ছিল এই গেম। তিনি বলেন, ‘কঠিনতম পাঁচ সেটের গেম ছিল। আমি জানতাম সিলিক জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আমার ভুলেই প্রথম সেট জিতেও পরের দুটো সেট হারতে হয়। সেখানেই আমার দোষেই সিলিকের সামনে সুযোগ চলে আসে। তবে সৌভাগ্য আমি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।’

(ওএস/পি/জুলাই ০৩,২০১৪)