স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। এজন্য এই পদে কে নিয়োগ পাবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দেশের অন্যতম এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে কে নিয়োগ পাবেন তা নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। তবে আলোচনায় রয়েছে তিনজনের নাম।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রবিবার বলেছেন, প্রস্তাবনায় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নাম রয়েছে। এদের যে কেউ নিয়োগ পাবেন। তবে সেটা নির্ভর করছে একান্ত প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিষয়। তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন।

তবে এনবিআরে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া এনডিসির নাম সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। যেকোনো সময় তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপণ জারি করা হতে পারে বলে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ পদের জন্য আলোচিতদের মধ্যে এগিয়ে থাকা শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে সর্বশেষ এক বছরের চুক্তিতে একই মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে মোশাররফের অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) বাতিলের শর্তে ২০১৬ সালের ৩০ জুন বা তার যোগদানের তারিখ থেকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছিল। ওই বছর আগামী ৩০ জুন তার পিআরএলে যাওয়ার কথা ছিল।

১৯৮১ সালের বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর গত ১১ এপ্রিল জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।

পদাধিকারবলে কর্ণফুলী সার কারখানা কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের এই চেয়ারম্যান ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। পরে একই বছরের ২৯ জুলাই পদোন্নতিপেয়ে সচিব হন মোশাররফ।

এর আগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি। পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে এক মামলায় গ্রেফতারের পর ওএসডিও হতে হয়েছিল এই কর্মকর্তাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মোশাররফের বাড়ি নরসিংদী।

এর পরে আলোচনায় থাকা শুভাশীষ বসু ১৯৮২ সালে বিসিএস কর ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

পদোন্নতি পেয়ে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১ মার্চ যোগ দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

অন্যদিকে ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন ড. আহমেদ কায়কাউস। সরকারের এই কর্মকর্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকসে মাস্টার্স পাস করেন। এরপর পাবলিক পলিসি অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইকোনমির ওপর টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইডি ডিগ্রি নেন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০১, ২০১৮)