নীলফামারী প্রতিনিধি : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বদিউজ্জামান (৬৫) নামের এক কৃষককে হত্যার চেষ্টার ১০দিনও সঙ্গা না ফেরায় আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়েছে আহত কৃষককে। গত শনিবার রাতে উক্ত কৃষককে রংপুর চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের নিবির পর্যবেক্ষক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত তার শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়নি মর্মে চিকিৎসক গন নিশ্চিত করেন। 

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামের কৃষক বদিউজ্জামানের উপর গত ২২শে ডিসেম্বর হামলা চালানো হয়েছিল। উক্ত ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার দিন রাত ৯টার সময় একই এলাকায় নকশোপাড়ায় বদিউজ্জামান কালীগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ী আসার পথে রাস্তায় হারুন-অর-রশিদসহ অজ্ঞাত ২/৩ মুখোশধারী হামলা চালিয়েছিল মর্মে পরিবারের পক্ষে দাবী করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা তার পেটে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায়।

কৃষক হত্যার চেষ্টাকারী হারুন-অর-রশিদ পাশ্ববর্তী ডোমার উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের মৃত দাড়িয়া মামুদের পুত্র। সে দীর্ঘদিন থেকে কালীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন হোটেলে শ্রমিকের কাজ করত। বদিউজ্জামানকে হোটেলে চা দেয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ হয় মর্মে পারিবারিক সুত্রে দাবী করা হয়েছে।

ঘটনার দিন পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। তিনি বর্তমানে সঙ্গাহীন অবস্থায় রংপুর চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের সার্জারী বিভাগের ১৪নং ইউনিটের ১নং বেডে চিকিৎসাধীন থাকার পরও উন্নতি না হওয়ায় তাকে শনিবার সন্ধ্যায় নিবিরি পর্যবেক্ষন কেন্দ্র আইসিইউতে হস্তান্তরা করা হয়।

সার্জারী বিভাগের সহকারী রেজিষ্টার ডাক্তার মোহাম্মদ ওয়াজিবুল্লাহ (বিপ্লব) বলেন, রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বদিউজ্জামানের পুত্র বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে হারুন অর রশিদসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

ডিমলা থানার এসআই আব্দুর রহিম জানায়, অভিযোগের পর রংপুর হাপাতালে গিয়ে আহত বদিউজ্জামানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও সঙ্গা না ফেরায় সম্ভব হয়নি। সঙ্গা ফিরলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।


(এমআইএস/এসপি/জানুয়ারি ০১, ২০১৮)