অধ্যাপক আজিজুর রহমান আযম, লক্ষ্মীপুর : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা, ডটার অব পিস, মাদার অব হিউমিনিটি, সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সময়কার সংসদ সদস্য , প্রবীন রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মীপুর ০৩ সংসদীয় আসনের বর্তমান সাংসদ এ.কে.এম. শাহজাহান কামালকে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়ার প্রক্রিয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের ১৭ লক্ষ জনগণ আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। 

এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অবহেলিত ও বঞ্চিত লক্ষ্মীপুরবাসীর জন্য নববর্ষের একটি বিরাট উপহার। এতবড় একটি খুশির খবর শুনে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্মীপুরের প্রায় সকল রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণিÑপেশার মানুষ আন্তরিক অভিনন্দন।

নেতৃবৃন্দকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে এ প্রথম লক্ষ্মীপুর সদর আসন থেকে আমরা আমাদের প্রিয় নেতা এ.কে.এম. শাহজাহান কামালকে শেখ হাসিনার বর্তমান কেবিনেটে মন্ত্রী হিসেবে পেতে যাচ্ছি। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে আমাদের লক্ষ্মীপুরবাসীর জন্য একটি বিরাট পাওনা। যা আমরা কল্পনাই করতে পারিনা বা আশাও করতে পারিনা।

কারণ বি.এন.পির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীপুরে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে মন্ত্রী উপহার দিবেন। কিন্তু দূরদৃষ্টি, তীক্ষè মেধা সম্পন্ন উন্নয়নের রোল মডেল, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এ.কে.এম. শাহজাহান কামালকে মন্ত্রী হিসেবে উপহার দিবেন। আশা করি আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের জনগণ প্রধানমন্ত্রীর এই উপহারের প্রতিদান দিবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করতে চাই লক্ষ্মীপুরের ০৪টি সংসদীয় আসনে আমরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করে আনব ইনশাআল্লাহ।

বঙ্গবন্ধুর সময়ের সংসদ সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, এ.কে.এম. শাহজাহান কামাল ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত সৎ, সাহসী, সামাজিক, মিশুক, আত্মসংযমী, বিণয়ী, জ্ঞানী, উদ্যোগী, যুক্তিবাদী, অধ্যবসায়ী, কর্তব্যপরায়ণ, উচ্চ মানের মানবিক গুণাবলির অধিকারী একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। তাঁর সারাজীবনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কোন খুঁত নেই। দুর্নীতির কোন ছাঁপ তাঁর উপরে নেই। তাঁর এলাকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবি শ্রেণিপেশার মানুষ তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখে থাকে এবং সম্মান করে থাকে।

এখানে উল্লেখ্য যে, এ.কে.এম. শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুরের লাহারকান্দি ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৩সালে লক্ষ্মীপুর মডেল হাই স্কুল থেকে এস এস সি পাশ করেন। এইচ এসসি ও ডিগ্রী পাশ করেন চোমুহনী এস.এ কলেজ থেকে । তারপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ ভর্তি হন পাশা পাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও অধ্যয়ন করেন। তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ও মুক্তিযোদ্বে অংশ গ্রহন করেন। তার পর তিনি বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলাপরিষদের প্রশাসক হিসেবে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ পরিচালনা করেন, তিনি জনতা ব্যাংকের ডাইরেক্টর ছিলেন।তাঁরই সহোদর ছোট ভাই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বর্তমান নির্বাচিত সভাপতি। এবং ৪০টি পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাধারন সম্পাদক।

এ.কে.এম. শাহজাহান কামালের মন্ত্রী হওয়ার প্রক্রিয়ার খবর শুনে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সেক্রেটারী এড. নুরউদ্দীন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর ৪ কমলনগরও রামগতি আসনের এম পি আবদুল্লাহ আল মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মীপুর এর সুযোগ্য মেয়র এম.এ.তাহের, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ এম.এ.হাসেম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ এম.এ.সাত্তার, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপু, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াছমিন লিকা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আহবায়ক মাহবুবুর রশীদ চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান আযম, রায়পুর সংসদীয় আসনের এম.পি মোঃ নোমান, জাতীয় পার্টির জেলা সেক্রেটারী এম.আর.মাসুদ, আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারী, লক্ষ্মীপুর জেলা বি.এম.এর সভাপতি ডা: আশফাকুর রহমান মামুন, সাংবাদিক এম.এ হেলাল, কামাল হোসেন, মোঃ কাউছার, এম.এ মালেক, আব্দুল মালেক, এম.জে.আলম, আজিজুল হক, মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মুরাদ, জহিরুল ইসলাম, , ফরদৌস আক্তার নয়ন, নজরুল ইসলাম জয়, সানাউল্লাহ সানু, জেলা জাসদ, জেলা জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কাস পার্টি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড নেতৃবৃন্দ, লক্ষ্মীপুর এর সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীবৃন্দ ও আপামর জনগণ এই খবর শুনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতু মন্ত্রী দলের কেদ্রীয় কমিটির ডায়নামিক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

আশাকরি এ.কে.এম শাহাজাহান কামাল মন্ত্রীত্ব পেয়ে অবহেলিত, বঞ্চিত লক্ষ্মীপুরের প্রতি বিশেষ নজর দিবেন। বিশেষ করে রামগতি ও কমলনগর নদী রক্ষা বাঁধকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য নতুন বাজেট বরাদ্ধ করা, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মজুচৌধুরীর হাটকে পূর্ণাঙ্গ নদীবন্দর বাস্তবায়ন করা, চৌমুহনী থেকে রায়পুর পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপন করা, লক্ষ্মীপুরের সম্ভাব্য শিল্প কারখানা স্থাপন করে বেকার সমস্যার সমাধান করা, লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা, দালাল বাজার ডিগ্রী কলেজ কে জাতীয়করণ করা, লক্ষ্মীপুরে একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি নার্সিং কলেজ করা,আদুনিক তথ্য প্রযুক্তি সমন্বয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রেস কøাবের জন্য ্একটি বহুতল ভবন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। আশাকরি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী চেয়ারে বসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও ওবায়দুল কাদেরের সহযোগীতায় উপরোক্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে লক্ষ্মীপুরের সর্বস্তরের জনগণ দৃড় আশাবাদী।

(এআর/এসপি/জানুয়ারি ০২, ২০১৭)