হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : হালুয়াঘাটে ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ২ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের ধুরাইল বাজার থেকে পাবিয়াজুরি বাজার পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধনে কয়েক হাজার নারী, পুরুষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জনপ্রতিনিধির অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে । মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, চেয়ারম্যান ও ওসির বিরুদ্ধে মামলা করা ওই নারী এলাকার চিহ্নিত গরুচোর চক্রের সদস্য। সে দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে মাদক ও জুয়ার আসর বসানোতে এলাকায় বিতর্কিত নারী হিসাবে চিহ্নিত হয়। চেয়াম্যানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্দনে ওই নারী মিথ্যা মামলা করেছে বলেও তারা জানান। আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ওই নারী চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের ইন্ধনে মামলা করেছেন। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ওই নারীর শাস্তি দাবি করেন। শিঘ্রই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে বক্তারা হুসিয়ারি উচ্চারণ করেন।

উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রশীদ, জেলা পরিষদেও প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদুরহ হক সায়েম ,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম ভূঞা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব, আওলাদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহ্মদ বিপ্লব, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শফিকুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, উপজেলার পাবিয়াজুরি গ্রামের আজগর আলীর স্ত্রী ঝর্না বেগমকে থানায় আটকে রেখে উলঙ্গ করে নির্যাতন ও চাঁদাদাবীর অভিযোগে ধুরাইল ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিছ উদ্দিন সুমন ও থানার ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ ৫ নং আমলী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক হাফিজ আল আসাদ গত ২৭ ডিসেম্বর অভিযোগটি আমলে নিয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন আদালত।

(জেসিজি/এসপি/জানুয়ারি ০২, ২০১৭)